প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠনের ৯টি ঘাঁটি ভারত লয়টারিং মিউনিশন সিস্টেমের সাহায্যে গুঁড়িয়ে (India Pakistan Tension) দেয়। অভিযানের নাম রাখা হয় অপারেশন সিঁদুর। এদিকে লস্কর-জইশ-হিজবুলের জঙ্গিদের আঁতুরঘর ধ্বংস হওয়া একদমই মন থেকে মেনে নিতে পারেনি পাকিস্তান। আর তাই তেড়েফুঁড়ে উঠল পাকিস্তান। জম্মু, পাঠানকোট এবং উধমপুরে ভারতীয় সামরিক ঘাঁটি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে।
যুদ্ধের মেজাজ ভারত পাক সীমান্তে | India Pakistan Tension
কিন্তু পাকিস্তানের সমস্ত চেষ্টাই ব্যর্থ করে দেয় ভারতীয় সেনারা। প্রতিশোধ হিসেবে, ভারত পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের পাশাপাশি লাহোর এবং শিয়ালকোটেও হামলা চালায়। একের পর এক সংঘর্ষের মাঝে পাকিস্তানের উস্কানিমূলক হানা এবং ভারতের পাল্টা জবাব তাই প্রশ্ন তুলছে- পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশেরা কি তবে যুদ্ধে লিপ্ত হল? পরিণতি কী হবে? আর এই যুদ্ধ সংঘর্ষের আবহের মাঝেই আমেরিকা নিজের ভূমিকা নিয়ে এবার স্পষ্ট মতবাদ দিল। জানিয়ে দিল ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ হলে এর কোনো অংশই হবে না আমেরিকা।
সাক্ষাৎকারে কী জানালেন জেডি ভান্স?
সম্প্রতি ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আমেরিকার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধ প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা সর্বাধিক দুই পক্ষকে সংঘর্ষ থামাতে বলতে পারি, কিন্তু যুদ্ধের মাঝে আমরা জড়াব না। আমাদের বিষয় নয় এটা, আমেরিকার নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়ও নয়।” তিনি আরও বলেন, “আমরা ভারত বা পাকিস্তান কাউকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। ভারতকেও বলতে পারি না অস্ত্র থেকে দূরে থাকতে। আবার পাকিস্তানকেও বলতে পারি না অস্ত্র ছেড়ে দিতে। এমতাবস্থায় আমাদের কাজ দুপক্ষকেই শান্ত থাকতে বলা। কিন্তু তার মানে এই নয় যে যুদ্ধের অংশ হতে হবে।”
পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স স্পষ্টই বুঝিয়ে দিচ্ছে যে আমেরিকা ভারত পাকিস্তানের সংঘাতের অংশ নিতে চায় না। এমনকি সংঘাত নিয়ন্ত্রণের দায়ও আমেরিকা নিজের কাঁধে নিতে চায় না। তাই সেক্ষেত্রে সরাসরি অংশ না নিলেও আমেরিকা কূটনৈতিকভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালাবেন বলে জানান ভান্স। তিনি আরও বলেন যে, “ আমরা আশঙ্কা করছি যে এই সংঘর্ষ যদি আরও বড় আঞ্চলিক যুদ্ধ বা পরমাণু যুদ্ধে পরিণত হয় তাহলে খুবই খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হবে। তবে আপাতত মনে হচ্ছে এমন কিছু হবে না।”
এদিকে এই যুদ্ধ সংঘর্ষের মাঝেই গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতে ভারতে মিসাইল ও ড্রোন দিয়ে হামলা করে পাকিস্তান। জম্মু-কাশ্মীর, রাজস্থান ও পঞ্জাবের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন উড়ে আসে। টার্গেট করা হয় ১৬ টি এলাকা। কিন্তু ভারতের S400 সুদর্শন চক্রের সামনে টিকতে পারেনি শত্রুর কোনো অস্ত্র। আকাশ, স্থল, জল-তিনদিক থেকেই একেবারে জোর আক্রমণে নেমেছে ভারতের বাহিনী। সেক্ষেত্রে পাকিস্তান কতক্ষণ তাঁর অস্তিত্ব ধরে রাখতে পারে, তা-ই দেখার।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।