ভারতের কারণে বাঁচল বাংলাদেশের সেনাপ্রধান!

Published on:

India Saved Bangladesh army chief

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বাংলাদেশের সেনা প্রধান ওয়াকার-উজ-জামানকে উৎখাতের চেষ্টা করেছিলেন ওপার বাংলার সেনাবাহিনীর অসাধুরা। তবে ভারত (India) সেই চেষ্টা নস্যাৎ করেছে। সূত্রের খবর, ওপার বাংলার সেনাপ্রধান বারংবার মৌলবাদীদের সতর্ক করে এসেছেন। কথায় বুঝিয়ে দিয়েছেন, বাড়াবাড়ি করলে বাংলাদেশি সেনা ল অ্যান্ড অর্ডারে হস্তক্ষেপ করবে।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

এরই মধ্যে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা ISI-র সাথে পরিকল্পনা করে জামানকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন সেদেশের সেনা বাহিনীর অন্যতম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন সেনা সদস্য। তবে ভারত সেই চেষ্টায় জল ঢেলেছে। কীভাবে? রইল বিস্তারিত।

জামানকে উৎসখাতের পরিকল্পনা বাঞ্চাল করে ভারত?

দীর্ঘদিন ধরে ওপার বাংলার রাজনীতিতে বিদ্বেষের হাওয়া বইছে। পারস্পরিক রেষারেষি থেকে শুরু করে ক্ষমতা দখলের লোভ সবই এখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে নিয়মিত। এবার সেই রেশ ঢুকে পড়েছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতেও। দীর্ঘ সময় ধরে ওপার বাংলার সেনাপ্রধান জামানকে উৎখাতের চেষ্টা করে চলেছেন কিছু অসাধু সেনা সদস্য।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

যাদের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর অন্যতম কর্মকর্তা তথা লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমান। অভিযোগ, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার সাথে যোগাযোগ রেখেই গভীর পরিকল্পনার পর জামানকে সরানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন ফয়জুর। যেই খবর কোনও ভাবে পেয়ে যান ভারতীয় গোয়েন্দারা।

আর এরপরই ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের সেনাপ্রধানকে সতর্ক করতে থাকেন ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগের অফিসাররা। সূত্রের খবর, জামানের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে সে বিষয়ে আমেরিকা ও ইউরোপের অন্যান্য দেশ গুলিকেও জানানো হয়। পরবর্তীতে পশ্চিমী দুনিয়া থেকে মহম্মদ ইউনূসের কাছে বার্তা আসে আপনার আর্মি চিফের বিরুদ্ধে ক্যু হতে চলেছে।

শোনা যায় ভারতীয় গোয়েন্দারাই নাকি ঢাকা থেকে জামানের সাথে আমেরিকান সেনা অফিসারদের কথা বলিয়ে দিয়েছিলেন। সূত্র বলছে, ভারতীয় গোয়েন্দা অফিসাররা প্রথম পদক্ষেপ নেওয়ার পরই বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের কমিউনিকেশন ডিভাইস ট্যাপ করার কাজ শুরু হয়। বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ভারতের পরামর্শে 13 মার্চ সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে গিয়েছিলেন জামান।

দেখানো হয়েছিল তিনি সেখানে মোতায়েন হওয়া বাংলাদেশের শান্তিসেনার সাথে কথা বলতে যাচ্ছেন। কিন্তু গোটা বিষয়টা ছিল রিপাবলিকে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন আমেরিকান আর্মির শীর্ষ অফিসাররা। সেখানে মায়ানমারের পরিস্থিতি যাতে হাতের নাগালের বাইরে না যায় সে বিষয়েও আশ্বাস দিয়েছিলেন জামান। সূত্রের খবর, বাংলাদেশের পাকপন্থী আর্মি অফিসাররা সেই খবর জেনে গিয়েছিলেন।

আর এরপরই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল তৈরি হয়। শোনা যায়, জামান দেশে ফিরলেই তাঁকে গ্রেফতার করার ছক করছিলেন বাংলাদেশের সেনা অফিসাররা। সূত্র বলছে, এই খবরও নাকি পেয়ে গিয়েছিলেন ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। তড়িঘড়ি ভারতের পরামর্শে ঢাকার বদলে তেজগাঁও এয়ারবেসে নামানো হয় বাংলাদেশের সেনাপ্রধানকে।

অবশ্যই পড়ুন: সুপার কাপের আগে ইস্টবেঙ্গলের কোচিং স্টাফে পরিবর্তন? জল্পনা বাড়াল এক ছবি

পরবর্তীতে বিরাট সিকিউরিটি নিয়ে ঢাকায় পৌঁছান জামান। তবে ওপার বাংলার বেশ কয়েকটি সূত্র বলছে, এখনও পর্যন্ত প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে জামানের। আগামী দিনে তাঁর সাথে কী হবে সে ব্যাপারে যথেষ্ট চিন্তিত ভারত থেকে শুরু করে অন্যান্য শুভাকাঙ্ক্ষী দেশগুলি।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group