শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ যত সময় এগোচ্ছে ততই নানা দিক থেকে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠছে ভারত। বর্তমানে এমন কোনও ক্ষেত্র হয়তো বাকি নেই যেখানে ভারত নিজেদেরকে উন্নত করার চেষ্টা করছে না। ইতিমধ্যে বহু ক্ষেত্রে ভারত উন্নত অবধিও হয়ে গেছে। সব থেকে বড় কথা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এখন বিশ্বের বাঘা বাঘা দেশকে রীতিমতো টেক্কা দিচ্ছে ভারত। এদিকে ভারতের শক্তি দেখে ভয় কেঁপে যাচ্ছে অনেক দেশ। এবার ভারত এমন একটি পদক্ষেপ নিল যার পরে কেঁপে যেতে পারে শত্রু দেশগুলি। নতুন করে শক্তি বাড়তে চলেছে ভারতীয় নৌবাহিনীর। ১০০ বা ২০০ নয়, এবার ৩০০ টি পারমাণবিক সাবমেরিন প্রস্তুত করছে ভারতীয় নৌবাহিনী বলে খবর। আর যা দেখে রীতিমতো হয় তটস্থ পাকিস্তান।
আরও শক্তি বাড়ল ভারতের
ভারতীয় নৌবাহিনী সম্প্রতি সমুদ্রে তাদের চতুর্থ পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন লঞ্চ করেছে। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত এই পারমাণবিক সাবমেরিন SSB নিয়ে রীতিমতো তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছে পাকিস্তান বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতের নতুন পারমাণবিক সাবমেরিন দেখে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মহলে চিন্তার কালো ছায়া নেমে এসেছে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা একে ভারতীয় নৌবাহিনীর ক্রমবর্ধমান শক্তি বলে অভিহিত করছেন।
অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ডিফেন্স স্টাডিজের অনারারি লেকচারার ড. মনসুর আহমেদ বড় মন্তব্য করেছেন। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি সমুদ্রে ভারতের ক্রমবর্ধমান পরমাণু শক্তি নিয়ে কথা বলেছেন। মনসুর আহমেদ জানান, একটি সুনির্দিষ্ট ও বিশ্বাসযোগ্য প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য ভারতীয় নৌবাহিনীর ২০৩৫ সালের মধ্যে তার এসএসবিএন বহরের জন্য ৩০০ টি পারমাণবিক ওয়ারহেডের মজুদ প্রয়োজন হবে। বর্তমানে ভারত সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে। ভারত বর্তমানে দুটি পারমাণবিক শক্তিচালিত ব্যালিস্টিক সাবমেরিন নিজের অস্ত্র ভাণ্ডারে যুক্ত করেছে। তবে ভারত আগামী দিনে আরও দুটি উন্নত এসএসবিএন নেওয়ার প্ল্যান করছে।
ভারতের ভান্ডারে ৬টি পারমাণবিক সাবমেরিন
জানা যাচ্ছে, ভবিষ্যতে, পরবর্তী প্রজন্মের S5 ক্লাসের আরও তিনটি এসএসবিএন অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে করে ভারতের শক্তি যে আরও কয়েক গুণ বেড়ে যাবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এদিকে একের পর সাবমেরিনের অন্তর্ভুক্তি প্রমাণ করে যে ভারত তার পারমাণবিক ক্ষমতা জোরদার করার দিকে মনোনিবেশ করছে।
ঘুম উড়ল পাকিস্তানের
এদিকে ভারতের এহেন শক্তি দেখে পাকিস্তানের যে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে, তা বারবারই সকলের মন্তব্যে উঠে আসছে। পাকিস্তানের মনসুর আহমেদ বলেন, ভারতের পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিনের সম্প্রসারণ দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত স্থিতিশীলতায় প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোতে পরমাণু অস্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিবেচনায় এটি ভারতকে কৌশলগত সুবিধা দেবে।