এবার দমবে চিন! বেজিংকে টেক্কা দিতে সলিড প্ল্যান ভারতের

Published on:

modi-jinping

চিন অন্যতম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে ক্রমে আত্মপ্রকাশ করেছিল বিশ্বের দরবারে। প্রায় দুই দশক ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে দাপিয়ে বেড়িয়েছে চিন। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিশ্বে নতুন করে নিজেকে চেনাতে শুরু করেছে ভারত।

করোনার কারণে বিশ্বে নাম খারাপ হয়েছে চিনের

WhatsApp Community Join Now

করোনাকালে বিশ্বব্যাপী বাজার কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। লকডাউনের কারণে তৈরি হয়েছিল আলাদা আলাদা নিয়ম। লকডাউনের ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল চিনের ওপরেও। তার কারণ, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রথম দেখা গিয়েছিল শি জিন পিং-এর দেশেই। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, চিন থেকেই বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল এই মারণ ভাইরাস। যার ফলে লকডাউন অধ্যায়ে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছিল এই দেশেই। নিজেদের গা বাঁচাতে অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন নিয়ম আরোপ করেছিল চিন।

আরও পড়ুনঃ রক্তবমি, ভর্তি হাসপাতালে! বিষ দেওয়া হয়েছে হাফিজ সইদকে? তোলপাড় পাকিস্তান

কিন্তু ভারত নিজেদের অর্থনীতি দ্রুত চাঙ্গা করার জন্য ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছিল। ভারতের রেলপথকে কাজে লাগিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চালানো হয়েছিল বাণিজ্য। মেডিক্যাল বিভাগেও অ্যাক্টিভ ছিল ভারত। সেই সময়ে ভারতের এই সক্রিয়তার ফলাফল দেখা যাচ্ছে এখনকার বাজারে, আন্তর্জাতিক বাজার দ্রুত সক্রিয় হওয়ার পর আন্তর্জাতিক মার্কেটে ভারতের গুরুত্ব বাড়তে শুরু করে দ্রুত। বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতিতে জায়গা করে নেয় আমাদের দেশ। এখন আরও এগিয়েছে ভারত। অর্থনীতি গ্রোথ হয়েছে আরও ভালো।

ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হবে ভারত

মোদী সরকার ভারতে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোকে ইনসেন্টিভ দিচ্ছে। iPhone তৈরি করা কোম্পানি আর দক্ষিণ কোরিয়ার Samsung কোম্পানি মোদী সরকারের এই উদ্যোগের ফায়দা নিয়ে ভারতে উৎপাদন বাড়াচ্ছে। বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে তৈরি iPhone এখন গোটা বিশ্বে রফতানি হচ্ছে। আগামী দিনে তা আরও বাড়ানোর প্ল্যান রয়েছে।

ডিপিআইআইটির সচিব রাজেশ কুমার সিং বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য আগামী পাঁচ বছরে গড়ে অন্তত ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা। দেশে এফডিআইয়ের প্রবণতা ইতিবাচক এবং এটি ক্রমাগত বাড়ছে। ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত পাঁচ বছরে গড়ে ৭০ বিলিয়ন ডলার বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে।” তিনি আরও দাবি করেছেন, ‘চলতি আর্থিক বর্ষে এই অঙ্ক ১০০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি হতে পারে। ভারত এখন বিশ্বের দ্রুততম বিকাশ সম্পন্ন এক বৃহৎ অর্থনীতি।’

আরও পড়ুনঃ শোধরাবে না মলদ্বীপ, এবার ভারতের পতাকা অপমান মইজ্জুর সাংসদের! তারপর যা হল …

আরও একটি বিষয়, বিভিন্ন কারণে চিনের সঙ্গে ভারতের রাজনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। যার ফলে চিনের ওপর ক্রমে নির্ভরতা কমিয়েছে দিল্লি। আগামী দিনে চিনের ওপর থেকে নির্ভরতা কমিয়ে আরও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য চেষ্টা করে চলেছে ভারত।

সঙ্গে থাকুন ➥
X