বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: আমাদের ওপর পরমাণু হামলা হলে ইজরায়েলের ওপর পরমাণু বোমা ফেলবে পাকিস্তান! বিরাট দাবি ইরানের (Iran)। সম্প্রতি, ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সদস্য মহসিন রেজাই জানিয়েছেন, ইজরায়েল যদি ইরানের ওপর পরমাণু হামলা চালায়, সেক্ষেত্রে পাকিস্তান তাদের ছেড়ে কথা বলবে না!
এক কথায়, ইরানের রক্ষাকর্তা হয়ে ইজারায়েলের ওপর পরমাণুর আঘাত হানবে সন্ত্রাসবাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে পরিচিত পাকিস্তান! যদিও মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত শুরুর পর থেকেই ইরানের কাঁধে বন্ধুত্বের হাত রাখলেও এমন দাবি নাকচ করেছে ইসলামাবাদ।
ইরানকে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে ইজরায়েল
বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইজরায়েল বিশ্বাস করে যে, গোটা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ইরান। এবার সেই ইরানই পরমাণু বোমা হাতে পেয়ে যাচ্ছে, আর এমন ভাবনা থেকেই শুক্রবার সকালে অপারেশন রাইজিং লায়নের নামে ইরানের একাধিক সামরিক ঘাঁটি ও পারমাণবিক অস্ত্র ভান্ডারগুলিকে কার্যত গুঁড়িয়ে দেয় তেল আবিব।
সূত্রের খবর, ভয়ঙ্কর ইজরায়েলি হামলায় ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ইরানের সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ মহম্মদ বাঘেরি, রেভোলিউশনারি গার্ডসের কমান্ডার হোসেন সালামি ও ইরানের এমার্জেন্সি কমান্ডের এক কমান্ডারের। তাছাড়াও, ইরানের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আলি শামখানিরও প্রাণ ঝরেছে ইজরায়েলি হামলায়। সূত্রের খবর, ইরান সেনার অন্যান্য আধিকারিক থেকে শুরু করে সদস্যদের মৃত্যুর পাশাপাশি ইতিমধ্যেই পারমাণবিক গবেষণাগারের 6 বিজ্ঞানীর প্রাণ নিয়েছে ইরান বিরোধী ইজরায়েল।
ইরানের হয়ে ইজরায়েলের সাথে যুদ্ধ করবে পাকিস্তান?
ইজরায়েলি হামলায় ইরানের একাধিক পারমাণবিক ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আচমকা বড়সড় দাবি করে বসেছেন ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের অন্যতম প্রধান সদস্য রেজাই। মূলত পাকিস্তানের ভরসার হাত কাঁধে রেখে এদিন রেজাই বলেন, পাকিস্তানের তরফে আমার বড় আশ্বাস পেয়েছি! ইসলামাবাদ বলেছে, ইজরায়েল যদি পারমানবিক মিসাইল ছোড়ে তবে পাকিস্তানও ইজরায়েলে পারমাণবিক হামলা চালাবে। যদিও বন্ধু ইরানের এমন দাবি একেবারে নস্যাৎ করে দিয়েছে পাকিস্তান। দিল্লি বিরোধী ইসলামাবাদ জানিয়েছে, তারা এমন কোনও আশ্বাস দেয়নি।
অবশ্যই পড়ুন: চাকায় আগুন, ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি! ২৫০ যাত্রী সহ লখনউ এয়ারপোর্টে অবতরণ বিমানের
প্রসঙ্গত, ইরানের ওপর একেবারে প্রথম লগ্ন থেকেই ইজরায়েলের কঠোর মনোভাবের পরই পাকিস্তানের তরফে পাশে থাকার বার্তা পেয়েছিল মুসলিম দেশটি। ইসলামাবাদের তরফে তেহরানকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, যেকোনও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে তাদের পাশে থাকবে পাকিস্তান! তবে সেই সহযোগিতা কি পারমানবিক যুদ্ধের পর্যায়ে পৌঁছে যাবে? আপাতত সেই প্রশ্নে অস্বীকারের দরজাতেই মাথা ঠুকতে হচ্ছে আর্থিক দিক থেকে দুর্বল পাকিস্তানকে!