বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে রয়েছে ইরান ও ইজরায়েল। মূলত, ভুরাজনীতি, আঞ্চলিক আধিপত্য ও পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির মতো নিরাপত্তা ইস্যুতে ইরানে জোরালো হামলা চালিয়েছে, ইজরায়েল। তবে শত্রু শিবিরের আঘাত মুখ বুজে সহ্য করেনি ইরান। ইজারায়েলকেও পাল্টা দিয়েছে মধ্য প্রাচ্যের এই দেশ।
কখনও গোপনে, কখনও আবার প্রকাশ্যে একে অপরের ওপর আঘাত হানছে ইরান ও ইজরায়েল। ফলত, দ্বিপাক্ষিক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দুই দেশের সামরিক ক্ষমতা (Iran Vs Israel Military Power) নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাই আজকের প্রতিবেদনে রইল ইরান ও ইজরায়েলের সামরিক ক্ষমতার হিসেবে
সেনার সংখ্যায় এগিয়ে কে?
যুক্তরাজ্যের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের তরফে প্রকাশিত 2023 সালের দ্য মিলিটারি ব্যালান্স প্রতিবেদন মারফত খবর, সামরিক ক্ষমতার ক্ষেত্রে সেনার সংখ্যায় ইজরায়েলের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে ইরান। বলে রাখি, বর্তমানে দেশটির সক্রিয় সেনা সদস্যের সংখ্যা 6 লাখ 10 হাজার, যেখানে ইজরায়েলের সেনা সংখ্যা মাত্র 1 লাখ 69 হাজার 500 ।
বলা বাহুল্য, ইরানের সেনাবাহিনীর মধ্যে 3 লাখ 50 হাজার জন সদস্য রয়েছে স্থলবাহিনীতে নিযুক্ত, অন্যদিকে 1 লাখ 90 হাজার ইসলামী বিপ্লব গার্ড বাহিনীতে কাজ করেন। পাশাপাশি নৌবাহিনীতে 18 হাজার, বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটে 15 হাজার ও বিমান বাহিনীতে 37 হাজার ইরানি সৈনিক কর্মরত।
তবে যদি ইজরায়েলের প্রসঙ্গ আসি সে ক্ষেত্রে, ইজরায়েলের স্থল বাহিনীতে রয়েছে 1 লাখ 26 হাজার সেনা। অন্যদিকে নৌবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় রয়েছেন 9 হাজার 500 ও বিমান বাহিনীতে বর্তমানে 34 হাজার ইজরায়েলি সেনা নিযুক্ত। তবে বেশ কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরানের থেকে রিজার্ভ ফোর্সে অনেকটাই এগিয়ে ইজরায়েলে। জানা যাচ্ছে, বর্তমানে ইরানের কাছে 3 লাখ 50 হাজার রিজার্ভ বাহিনী রয়েছে, যেখানে ইজরায়েলের কাছে রয়েছে 4 লাখ 65 হাজার সেনা।
অবশ্যই পড়ুন: আর কত নিচে নামবে পাকিস্তান? BCCI-কে ফাঁপরে ফেলতে বিরাট ষড়যন্ত্র PCB-র!
দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত পার্থক্য
বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের দাবি, ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে সামরিক ক্ষমতা সরাসরি তুলনা করা গেলেও কৌশলগত দিক থেকে দুই দেশের মধ্যে বড় পার্থক্য রয়েছে। আসলে, ইরান মূলত তাদের জনবলের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। জানিয়ে রাখি, আঞ্চলিক বিপ্লবী বাহিনী থেকে শুরু করে স্থানীয়দের নিয়ে একটি বড় সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলেছে ইরান।
অন্যদিকে ইজরায়েল মূলত উচ্চ প্রযুক্তির নির্ভর ও দ্রুত প্রক্রিয়াশীল বাহিনীর গঠনে জোর দিয়েছে। তাছাড়াও ইরানের পাশাপাশি ইজরায়েলের কাছে একাধিক মারণাস্ত্র রয়েছে। সেই সাথেই উন্নত ড্রোন প্রযুক্তি ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সমর্থন ইজারায়েলকে অনেকটাই এগিয়ে রেখেছে। যেখানে ইরান মূলত সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবেই পরিচিত!
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |