প্রীতি পোদ্দার, ঢাকা: শেখ হাসিনার সরকার পতনের পরেই বাংলাদেশে (Bangladesh) অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। গোটা বাংলাদেশ জুড়ে একের পর এক সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরে নৃশংস নির্যাতনের খবর উঠে এসেছে। এরপর সেই দেশের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পড়ে মুহাম্মদ ইউনূসের এর ওপর। কিন্তু তাঁর নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হওয়ার পর থেকেই সেখানে হিন্দু এবং সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার চলছে বলে অভিযোগ উঠে আসছে। এর প্রতিবাদে সেখানে রাস্তায় নেমেছেন হিন্দুরা। সেখানে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ তুলে ও তার প্রতিবাদে যেসব সমাবেশ হচ্ছে তাতে যাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। আর এবার তাঁকেই গ্রেফতার করা হল।
বাংলাদেশে হুমকির মুখে হিন্দুরা
কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের কট্টরপন্থী মুসলিমরা সেদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিল। এমনকি এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে সাম্প্রদায়িক বলে আখ্যায়িত করে চরম হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল। না হলে ইসকন ভক্তদের ধরে ধরে হত্যা করারও হুমকি দেন তারা। বিষয়টি নিয়ে ভারত ও আমেরিকার সাহায্যের আবেদন জানান ইসকনের এক সদস্য। কট্টরপন্থী মুসলিমদের সামাজিক মাধ্যমে হুমকির পরই আতঙ্কিত হয়ে এই আবেদন জানান তাঁরা।
বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার চিন্ময় প্রভু
এদিকে গত শুক্রবার রংপুরে ইসকনকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি তুলতেই পাল্টা আন্দোলনে নামে হিন্দুরা। সেখানে বিশাল সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চিন্ময় প্রভু। তিনি হিন্দু সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। পাশাপাশি, সম্প্রীতি রক্ষায় সেদেশের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মুসলিমদের অবদানের কথাও তিনি তুলে ধরেন। কিন্তু প্রকাশ্য সভায় বক্তব্য রাখার পর সেদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের টার্গেট হয়ে যান চিন্ময় প্রভু। অবশেষে গতকাল অর্থাৎ সোমবার ঢাকা বিমানবন্দর থেকে এই সন্ন্যাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ দিন বিকালে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়েই তাঁকে গ্রেপ্তার করেন ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দারা। এই অবস্থায় এবার ভারতকে এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার জন্য আহ্বান জানাল ইসকন।
ভারতকে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ ইসকনের
এদিন এক্স হ্যান্ডেলে ইসকন ভারতকে উদ্দেশ্য করে জানিয়েছেন, “আমরা উদ্বেগজনক রিপোর্ট পেয়েছি যে ইসকন বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান নেতা শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ঢাকা পুলিশ আটক করেছে। অভিযোগ করা হচ্ছে যে বিশ্বের যে কোনো জায়গায় সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে ইসকনের সম্পর্ক আছে কিন্তু এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং নিন্দনীয়। তাই ইসকনকে সুরক্ষিত রাখতে ভারত সরকারকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে এবং বাংলাদেশ সরকারের সাথে কথা বলার জন্য এবং আমাদের এই আন্দোলন একটি শান্তিপ্রিয় ভক্তি আন্দোলন বলে বোঝানোর জন্য ভারতকে আহ্বান জানানো হচ্ছে।”
We have come across disturbing reports that Sri Chinmoy Krishna Das, one of the prominent leaders of ISKCON Bangladesh, has been detained by the Dhaka police.
It is outrageous to make baseless allegations that ISKCON has anything to do with terrorism anywhere in the world.…
— Iskcon,Inc. (@IskconInc) November 25, 2024