বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ভারতীয় টেলিকম নেটওয়ার্ক (Telecom Network Company) দুনিয়ায় দাপটের সাথে রাজত্ব করছে Jio ও Airtel। পাল্লা দিয়ে উঠতে না পারলেও ক্রমশ নিজেদের উন্নত করার চেষ্টা করছে ভোডাফোন আইডিয়াও। আর এই তিন জায়ান্ট-এর সাথে বাজার দখলের লড়াইয়ে বারংবার পিছিয়ে পড়তে হচ্ছে ভারতের সরকারি টেলিকম নেটওয়ার্ক সংস্থা BSNL-কে।
তবে একই আলোচনা যদি ইরানের ক্ষেত্রে হয়, সেক্ষেত্রে চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। অনেকেই হয়তো জানেন না, ইরানের বেশিরভাগ জনগণ একেবারে চোখ বন্ধ করে ভরসা করেন সে দেশের একমাত্র টেলিকম নেটওয়ার্ক সংস্থাকে। হ্যাঁ, মধ্য প্রাচ্যের এই দেশে Jio, Airtel-এর কোনও চিহ্ন নেই, বরং খামেনির দেশে দাপিয়ে রাজত্ব করছে ইরানের সরকারি মোবাইল নেটওয়ার্ক সংস্থা।
ইরানের বৃহত্তম নেটওয়ার্ক সংস্থা এটিই
জানিয়ে রাখি, বর্তমানে ইজরায়েল ও আমেরিকার সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ক্ষমতাশালী দেশ ইরানের জনগণের পছন্দের টেলিকম নেটওয়ার্ক সংস্থা আসলে সেদেশের প্রাচীনতম এবং বৃহত্তম নেটওয়ার্ক IR-MCI। এটি আসলে ইরানের সরকারি টেলিকম নেটওয়ার্ক সংস্থা।
বলে রাখি, ফারসি ভাষায় IR-MCI বা হামরাহ-ই-আভালের অর্থ আসলে প্রথম সঙ্গী। নামের অর্থ সার্থক করতে বছরের পর বছর ধরে গোটা দেশে একেবারে উন্নত প্রযুক্তির নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করে আসছে এই সংস্থা। বলা বাহুল্য, 1993 সালে প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু হয়েছিল এই নেটওয়ার্ক সংস্থাটির।
ইরানে বর্তমানে চালু রয়েছে এই নেটওয়ার্কগুলি
ইরানের বৃহত্তম সরকারি টেলিকম নেটওয়ার্ক সংস্থা IR-MCI ছাড়াও একাধিক মোবাইল নেটওয়ার্ক সংস্থা রয়েছে। সেই তালিকায় একেবারে প্রথম দিকে নাম আসে দক্ষিণ আফ্রিকার টেলিকম নেটওয়ার্ক সংস্থার মালিকানাধীনর অংশীদার কোম্পানি Irancell-এর। এটি আসলে ইরানের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম নেটওয়ার্ক সংস্থা। ও দেশের বাসিন্দাদের কাছেও এটি বেশ জনপ্রিয়।
এছাড়াও, ইরানে চালু রয়েছে Rightel টেলিকম নেটওয়ার্ক সংস্থার নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট পরিষেবা। এই নেটওয়ার্ক সংস্থাটি তেহরানের তৃতীয় বৃহত্তম টেলিকম নেটওয়ার্ক কোম্পানি। তবে তা সত্বেও এর নেটওয়ার্ক স্পিড অর্থাৎ নেটওয়ার্কের ধরন 3G। যদিও সংস্থাটি ধীরে ধীরে 4G নেটওয়ার্কে পদার্পণ করছে।
কেন ইরানে চলে না কোনও ভারতীয় সংস্থার নেটওয়ার্ক?
Jio, Airtel অথবা Vi, মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ক্ষমতাশালী দেশ ইরানে কাজ করে না ভারতের কোনও বেসরকারি টেলিকম নেটওয়ার্ক সংস্থার নেটওয়ার্ক। কিন্তু কেন? আসলে ইরানে একটি মুক্ত এবং নিয়ন্ত্রিত ডিজিটাল ইকোসিস্টেম রয়েছে। ফলত, সহজেই বিদেশি কোম্পানিগুলি ও দেশে প্রবেশ করে নিজেদের জায়গা দখল করতে পারে না। তাছাড়াও রাজনৈতিক এবং আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তো রয়েছেই।
অবশ্যই পড়ুন: ৩৫০০ কোটির লিগ চালু করে IPL-কে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা! সৌদি আরবকে বড় ঝটকা দিল BCCI
উল্লেখ্য, ইরানের ওপর আমেরিকার মতো একাধিক দেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে। যার কারণে ও দেশে বিদেশি প্রযুক্তি কোম্পানিগুলি প্রবেশ করতে পারছে না। তবে সুযোগ থাকলেও বহু সংস্থাই আর্থিক ক্ষতির ভয়ে পিছিয়ে আসে।
মূলত সেই সব কারণেই, দেশে একেবারে খোলা বাজার পেয়ে গিয়েছে ইরানের সরকারি টেলিকম নেটওয়ার্ক সংস্থা প্রথম সঙ্গী বা IR-MCI অথবা হামরাহ- ই- আভাল। তবে বলে রাখি, ভারতে যেখানে শুধুমাত্র Jio ব্যবহারকারীর সংখ্যা 469.7 মিলিয়নেরও বেশি, সেই পর্বে দাঁড়িয়ে 2022 সালের হিসেব অনুযায়ী ইরানের সরকারি টেলিকম নেটওয়ার্ক সংস্থাটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা মাত্র 66 মিলিয়ন।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |