সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammed) এবার 500 টাকার বিনিময়ে মহিলাদের জন্য জঙ্গি ট্রেনিং এর অনলাইন কোর্স চালু করল। হ্যাঁ, অপারেশন সিঁদুরে কার্যত ছারখার হয়ে গিয়েছিল জইশের নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি। আর সেই তালিকায় জেহাদ বিশ্ববিদ্যালয়ও ছিল। তবে ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালানোর জন্য সেই জঙ্গি সংগঠন পুনর্গঠন করতে একেবারে উঠেপড়ে লেগেছে মাসুদ আজহার আর তার সঙ্গীরা। ইতিমধ্যেই তারা একটি জইশ নামের শাখা খুলে ফেলেছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘জামাত-উল-মুমিনাত।’ আর এখানেই দেওয়া হবে ট্রেনিং।
500 টাকার বিনিময়ে জঙ্গি ট্রেনিং
সম্প্রতি সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, সংগঠনটি এখন ‘জামাত-উল-মুমিনাত’ নামে নারীদের জন্যই এই ইউনিট গঠন করেছে এবং তাদের জন্যই তৈরি হচ্ছে অনলাইন প্রশিক্ষণ কোর্স। আর এই কোর্সের নাম দেওয়া হয়েছে ‘তুফাত আল-মুমিনাত’। এই অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে মূলত জইশ মহিলাদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হবে ও নতুন সদস্য নিয়োগ করা হবে। আগামী 8 নভেম্বর থেকেই শুরু হবে এই নিয়োগ অভিযান। জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের দুই বোন সাদিয়া আজহার ও সামাইরা আজহার এই প্রশিক্ষণের কর্মসূচির দায়িত্বে রয়েছেন বলেই খবর পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিদিন 40 মিনিট করে লেকচার দেওয়া হবে, আর সেখানে তারা ইসলামের ব্যাখ্যা ও জিহাদি দায়িত্ব সম্পর্কে শিক্ষা পাবে।
প্রসঙ্গত, এই ট্রেনিং এর জন্য প্রতি অংশগ্রহণকারীর কাছ থেকে মাত্র 500 পাকিস্তানি রুপি ধার্য করা হয়েছে যা ভারতীয় মুদ্রায় দাঁড়াচ্ছে মাত্র 156 টাকা। মূলত পাকিস্তানের নারীদের একা বাইরে যাওয়া অনুচিত বলেই মনে করা হয়। আর সেজন্যই অনলাইনে টাকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এদিকে গত 8 অক্টোবর বাহাওয়ালপুরের মারকাজ উসমান-ও-আলিতে এবং মহিলা শাখা ‘জামাত-উল-মুমিনাত’ গঠনের ঘোষণা করেছিল মাসুদ আজহার। এমনকি 19 অক্টোবর সংগঠনটি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রওলকোটে নতুন ইউনিটের জন্য মহিলা সদস্য নিয়োগ করে। আর সেখানে ‘দুখতারান-ই-ইসলাম’ নামের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। তবে এবার মাত্র 500 টাকা অনুদানের বিনিময়েই জিহাদির পাঠ দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ কাকদ্বীপে মা কালীর ভাঙা মূর্তি নিয়ে প্রিজন ভ্যানে তুলল পুলিশ! ভিডিও পোস্ট করে তোপ শুভেন্দুর
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নারীদের অনলাইন প্রচার এবং নিয়োগের মাধ্যমে সংগঠনের প্রচার বাড়াচ্ছে। এটি মূলত পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসবাদী গঠনগুলির মূল কৌশল। এর পাশাপাশি পুলওয়ামা হামলাকারীদের স্ত্রীরাও জিহাদির পাঠ দেবেন বলেই সূত্র মারফৎ খবর। আর এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ‘জামাত-উল-মুমিনাত’ এর সদস্য সংখ্যা বাড়াতে চাইছে সংগঠনটি। এখন দেখার কতজন এই জঙ্গি ট্রেনিং নেয়।