বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: একসময়ের বন্ধু আজ একে অপরের চরম শত্রু হয়ে উঠেছে! কথা হচ্ছে, ভারত বন্ধু রাশিয়া ও পাক বন্ধু আজারবাইজানের। সম্প্রতি ভ্লাদিমির পুতিনের দেশের সাথে তিক্ততা চরম পর্যায়ে উঠেছে বাকুর। নেপথ্যে, মিডিয়া অফিসে অভিযান, রক্তাক্ত সন্দেহভাজনদের আদালতে হাজির করা, আজারবাইজানি নাগরিকদের আটক, হেফাজতে থাকা অবস্থায় আজারবাইজানি নাগরিকদের মৃত্যুর মতো ঘটনা।
রাশিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে উত্তেজনার প্রধান কারণ
গত 28 জুন ইয়েকাটেরিনবার্গ শহরে অন্তত 50 জনেরও বেশি আজারবাইজানি নাগরিকদের গ্রেপ্তার করার ঘটনা অনেকেই হয়তো জানেন। জানা যায়, 2001 সালে একটি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। মূলত সেই সময় পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যু হয় দুই অভিযুক্ত জিয়াউদ্দিন ও হোসেইন সাফারভের।
বলা বাহুল্য, 2001 সালের ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আহত হয়েছিলেন বহু মানুষ। আর এরপর থেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে আজারবাইজান সরকার। আর তারপর থেকেই একের পর এক প্রতিক্রিয়া জানাতে থাকে বাকু।
কিন্তু রাশিয়ার সাথে কেন সম্পর্কের এমন দৈন্যদশা হল আজারবাইজানের? বলে রাখি, একসময়ে রাশিয়ার কাছের বন্ধু আজারবাইজানের যাতে সম্পর্কের অবনতি দু এক দিনে ঘটেনি। এ প্রসঙ্গে এক আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে চলতি উত্তেজনা দীর্ঘ প্রক্রিয়ার অংশ। জানা যায়, 2020 সালে কারাবাখ যুদ্ধ ও 2023 সালে আজারবাইজানের সামরিক সাফল্যের পর সে দেশের ইলহাম আলিয়েভ সরকার রাশিয়ার সাথে কম ও তুরস্ক এবং পশ্চিমা দেশগুলির সাথে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলে।
তবে পরবর্তীতে 2024 সালের 25 ডিসেম্বর অর্থাৎ গতবছর গ্রোজনি যাওয়ার জন্য আজারবাইজানের একটি যাত্রীবাহী বিমান ভুল করে রাশিয়ান বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আঘাতে ভূপাতিত হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই বিমানে অন্তত 67 জন যাত্রী ছিলেন। যাদের মধ্যে মৃত্যু হয় 38 জনের। আর এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই প্রতিশোধের আগুনে জ্বলতে থাকে আজারবাইজান। যদিও ভুলবশত পাক যাত্রীবাহী বিমান ভূপাতিত করলেও প্রকাশ্য কোনও ক্ষমা চায়নি রাশিয়া। আর এর পরই রাশিয়ার সাথে ক্রমশ সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে আজারবাইজনের।
অবশ্যই পড়ুন: জলের দামে ব্রডব্যান্ড পাবে ১.৫ কোটি পরিবার! স্টারলিংকের আগেই কামাল দেখাবে ভারতনেট
রাশিয়াকে একের পর এক ধাক্কা দিচ্ছে আজারবাইজান
রাশিয়ার তরফে আজারবাইজানের যাত্রীবাহী বিমান ভূুপাতিত হওয়ার ঘটনার পরই, রাশিয়াকে একের পর এক ধাক্কা দিতে শুরু করে আজারবাইজান। জানা যায়, গত মে মাসে আলিয়েভ রাশিয়ার বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে যোগ দিতে অস্বীকার করেন। বন্ধু দেশের পক্ষ থেকে যেই পদক্ষেপ রাশিয়ার জন্য ছিল প্রথম অপ্রত্যাশিত আঘাত। তবে এখানেই থেমে থাকেনি আজারবাইজান।
এরপর গত 30 জুন মস্কোকে দ্বিতীয় ধাক্কা দেয় বাকু। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, আজারবাইজানের পুলিশ বাকুতে রাশিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যমের অফিসে অভিযান চালায়। আর এর পরই রুশ সংবাদমাধ্যমের সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা সম্পাদককে আটক করা হয়। তাদের দুজনকে রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার গুপ্তচর বলে দাগিয়ে দেয় আজারবাইজান পুলিশ। আর এই ঘটনার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |