শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপের ওপর থেকে অশান্তির কালো ছায়া যেন কাটতেই চাইছে না। ভারতের সঙ্গে পাঙ্গা নেওয়াই যেন কাল হয়েছে মলদ্বীপের। বর্তমানে দেনার দায়ে ডুবে রয়েছে এই দেশ। আর্থিক অবস্থা তলানিতে। ডলার সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দেশটি। পরিস্থিতি কবে ঠিক হবে তা এখনো কেউ বলতে পারছে নাম এরই মাঝে এক বিকল্প পথে হাঁটল এই দ্বীপরাষ্ট্রটি। তাই এখন ডলার সংকটে পড়া মলদ্বীপ নতুন বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ বাস্তবায়ন করেছে।
বড় পদক্ষেপ মলদ্বীপের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে কটাক্ষ করা পর থেকে যেন দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক রীতিমতো তলানিতে চলে গিয়েছিল। এমনকি ভারতীয় পর্যটকরাও মলদ্বীপ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন এমনিতে মলদ্বীপ হলো পর্যটন নির্ভর দেশ। সারা বছর অন্যান্য পর্যটকদের পাশাপাশি ভারতীয় পর্যটকদের সংখ্যা করা মত ছিল মলদ্বীপে কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তথা ভারতকে অপমান করার জেরে ভারতীয়রা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন দেশটি থেকে। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। দেশের মধ্যে সম্পর্ক ঠিক রাখতে সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে এসেছেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। যাইহোক, এতকিছুর মধ্যে মলদ্বীপ নতুন বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ বাস্তবায়ন করেছে।
এটি বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনের ধরন সীমিত করে এবং পর্যটন প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকগুলিতে বাধ্যতামূলক বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। গত বছর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর ‘ইন্ডিয়া আউট’ ক্যাম্পেইনে সাড়া দিয়ে ভারতীয় পর্যটকদের দ্বীপরাষ্ট্র থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানানোর পর দেশটির অর্থনীতি ধাক্কা খেয়েছে।
মলদ্বীপকে সাহায্য ভারতের
গত মাসে মলদ্বীপ ইসলামিক বন্ডে সম্ভাব্য খেলাপি যাতে এড়াতে না পারে সেটার জন্য ভারত ৫০ মিলিয়ন ডলার সুদমুক্ত ঋণ দেয়। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আমদানি বিলের সঙ্গে মিলছে না, দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মলদ্বীপ মুদ্রা কর্তৃপক্ষ (এমএমএ) ১ অক্টোবর একটি নতুন নীতি চালু করেছে, যার অধীনে পর্যটন শিল্প থেকে উত্পন্ন সমস্ত বৈদেশিক মুদ্রা আয় স্থানীয় ব্যাংকে জমা করতে হবে।
মলদ্বীপে নানা বিধিনিষেধ
এমএমএ, যা ডলারের ঘাটতির কারণে আগস্টে মলদ্বীপে একটি কঠোর ডলার সীমা আরোপ করেছিল, স্থানীয় ধিভেহি ভাষায় নতুন নিয়ম প্রকাশ করেছে। ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন (রেগুলেশন নং: ২০২৪/আর-৯১) অনুসারে, মলদ্বীপের অভ্যন্তরে সমস্ত লেনদেন অবশ্যই মলদ্বীপের রুফিয়ায় (এমভিআর) করতে হবে, বৈদেশিক মুদ্রায় স্পষ্টভাবে অনুমোদিত লেনদেন ব্যতীত।