‘অনেক হয়েছে আর নয়।’ কার্যত এমন মনোভাব নিয়ে ময়দানে নামতে চলেছে দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপ। মূলত পর্যটন ব্যবসাকে এক নতুন দিশা দেখতে এবার মূলত ভারতের দিকে লক্ষ্য স্থির করল মলদ্বীপ দেশ। সবথেকে বড় কথা, এবার ভারতের শহরে শহরে নাকি প্রচার চালাবে মলদ্বীপ! শুনতে অবাক লাগলেও এমনই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে।
ভারত-মলদ্বীপের মধ্যে তরজা যেন থামার নামই নিচ্ছে না। ভারত ও দ্বীপরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের জেরে আর কিছু না হোক, মলদ্বীপের পর্যটন ব্যবসা এক কথায় মুখ থুবড়ে পড়েছে। মলদ্বীপের মতো জায়গা এতদিন টিকে ছিল পর্যটকদের আগমনের ওপর ভিত্তি করে। শুধুমাত্র ভারত থেকে পর্যটকদের একটি বড় অংশ এই মলদ্বীপে ছুটি উদযাপন করতে আসতেন। কিন্তু ক্রমে দুই দেশের মধ্যে চলমান সংঘাতের জেরে এক ঝটকায় ব্যাপক সংখ্যা কমে যায়। ভারতীয়রা রীতিমতো মলদ্বীপকে বয়কটের ডাক দেন।
পর্যটকের জন্য ভারতের শরণে মলদ্বীপ
যাইহোক, এবার আগের সুদিন ফেরাতে রীতিমতো কোমর বেঁধে ময়দানে নামতে চলেছে মলদ্বীপ বলে শোনা যাচ্ছে। জানা গেছে, মালদ্বীপের ট্যুরিজম এজেন্টরা এখন ভারতে এসে বিভিন্ন শহরে রোড শো করতে চলেছেন। ৮ এপ্রিল, মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে ভারতীয় হাইকমিশনারের সাথে আলোচনার পরে, মলদ্বীপের অ্যাসোসিয়েশন অফ ট্র্যাভেল এজেন্টস অ্যান্ড ট্যুর অপারেটরস বা MATATO একটি রোড শো করার মাধ্যমে ভারতে পর্যটন বাড়ানোর পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করে।
আরও পড়ুনঃ এই দিন বেরোবে মাধ্যমিকের রেজাল্ট! প্রকাশ্যে এল সম্ভাব্য তারিখ
এই MATATO পর্যটন উদ্যোগের প্রচারের জন্য মলদ্বীপে ভারতীয় হাই কমিশনের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল। ভারতের বড় বড় শহরগুলিতে একটি বিশাল রোড শো চালুর প্রস্তুতি চলছে। উল্লেখ্য, বিগত গত ২ জানুয়ারি লাক্ষাদ্বীপ সফরে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেইসময় সমুদ্র সৈকতে হাঁটা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ের কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। লাক্ষাদ্বীপের হয়ে প্রচারও করেন প্রধানমন্ত্রী। সেইসময় মলদ্বীপের এক মন্ত্রী বলেন, ‘মলদ্বীপের সমুদ্র সৈকতের তুলনায় ভারতের উপকূল কিছুই নয়।’ এরপরেই হইচই পড়ে যায়।