বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইছেন ইউনূস? দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করে কি নতুন নাটক করছেন? সময় নিয়ে কি নিজের আখের গোছাতে চান? এমন একাধিক প্রশ্ন তুলেই বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন (Bangladesh Election) আয়োজনের দাবি তুলেছিল ওপার বাংলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি সহ অন্যান্য বিরোধীরা।
তবে প্রাথমিকভাবে সে অর্থে সারা না দিলেও শেষ পর্যন্ত চাপে পড়ে শুক্রবার ভোটের কথা ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। কিন্তু ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করতেই শান্তিতে নোবেলজয়ীর ওপর চাপ আরও খানিকটা বাড়ল। প্রশ্ন হচ্ছে, এখন কোথায় যাবেন ওপার বাংলার প্রধান?
ভোট ঘোষণা করেও চাপে ইউনূস
শুক্রবার বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস জানিয়েছিলেন, 2026 সালের এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধে যে কোনও একটি দিন বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ঠিক কতটা সুষ্ঠভাবে, কতটা দুর্নীতি মুক্ত থেকে ভোট পর্ব আয়োজন করতে চান সে কোথাও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ওপার বাংলার প্রধান। কিন্তু তা সত্ত্বেও চিন্তার ঝুলি ভরাটই রইল।
গতকাল ইউনূসের তরফে নির্বাচনের সময় ঘোষণা করা সত্ত্বেও ওপার বাংলার প্রধানকে ঘিরে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, সময় নষ্ট করতেই কি এপ্রিল মাসটা বেছে নিলেন ইউনূস? কেউ কেউ তো আবার বলছেন, এই সময়ের মধ্যে নিজের জন্য ভাল মতো গুছিয়ে নিয়ে তবেই সিংহাসন ছাড়বেন তিনি!
পুরনো অবস্থান থেকে সরছে না BNP
সম্প্রতি বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টির তরফে দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের জন্য ইউনূস সরকারের ওপর চাপ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। সেই মতোই শুক্রবার ভোটের সময়কাল নির্ধারণ করে দিয়েছেন ইউনূস। কিন্তু তাতে মোম এক ফোঁটাও গলেনি!
সদ্য বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টির তরফে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, তাঁরা তাদের অবস্থানে অনড়।
শুক্রবার BNP-র তরফে একটি বৈঠক ডাকা হয়, সেখানেই লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আর এর পরই কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায় দলের অবস্থান। এদিন খালেদা জিয়ার দলের মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁদের অবস্থান এক থাকবে।
অবশ্যই পড়ুন: এসপ্ল্যানেড-শিয়ালদহ মেট্রো নিয়ে বিরাট সুখবর
আসলে বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টির বক্তব্য ছিল, আগামী বছরের এপ্রিলে নির্বাচন হলে আবহাওয়া যথেষ্ট প্রতিকূল থাকবে। তাছাড়াও ওই সময় চলবে রমজান। মূলত প্রবল গরমে রমজানের মধ্যে প্রচার করা সম্ভব হবে না। বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি দাবি করছে, ওই সময় নির্বাচন হলে পরিস্থিতি বিগড়ে যেতে পারে! যার ফলে নির্বাচনের সময় পিছিয়ে আরও যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জানা যাচ্ছে, আসন্ন এপ্রিলে নির্বাচন আয়োজন নিয়ে আপত্তি জানানোর পাশাপাশি এবছরের ডিসেম্বরে কেন নির্বাচন আয়োজন করা যাবে না ইউনূসের কাছে সেই ব্যাখ্যাও চেয়েছে BNP।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |