বাংলাদেশের মানচিত্রে ভারতের রাজ্য! পাক সেনাকর্তাকে এ কী উপহার দিলেন ইউনূস?

Published:

Muhammad Yunus Gives Gift To Pak General Bangladesh map includes Assam North East
Follow

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: মহম্মদ ইউনূস সিংহাসনে বসার পরই বাংলাদেশের সাথে ক্রমশ সখ্যতা বেড়েছে পাকিস্তানের। ভারতের সাথে কূটনৈতিক ঝঞ্জাটের মাঝে সেই বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ওপার বাংলার প্রধান উপদেষ্টা। আপাতত যা খবর, খুব শীঘ্রই বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে ঢাকা এবং করাচির মধ্যে শুরু হবে বিমান চলাচল। বাংলাদেশে পৌঁছে ইতিমধ্যেই ইউনূসের সাথে বৈঠকের পর তা নিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন পাক সেনার জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা। শোনা যাচ্ছে, সৌজন্য সাক্ষাৎকারের পরই পাক সেনা জেনারেলের হাতে একটি বিশেষ উপহার তুলে দেন ইউনূস (Yunus Gives Gift To Pak General)।

পাক সেনা জেনারেলকে কী উপহার দিলেন ইউনূস?

পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে ওপার বাংলায় পা রেখেছেন পাক সেনাকর্তা শামশাদ মির্জা। সেখানে পৌঁছেই শনিবার রাতে ইউনূসের সাথে বৈঠক সারেন তিনি। ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পাকিস্তানি সেনা কর্তাকে স্বাগত জানান ইউনূস। সেখানেই বৈঠক হয় দুজনের। রিপোর্ট বলছে, ওইদিনই পাকিস্তানি সেনাকর্তার হাতে একটি বিশেষ ছবি উপহার হিসেবে তুলে দেন ইউনূস। সূত্রের খবর, ওই ছবিটি আসলে ভারতের অসম এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সম্মিলিত বাংলাদেশের মানচিত্রের। তাছাড়াও ওই ছবিতে জায়গা পেয়েছেন বিভিন্ন বিপ্লবীরা… সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, বাংলাদেশের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ভারতের অসম এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিকে! (সূত্রের খবর)

ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার শনিবার প্রধান উপদেষ্টা এবং পাক সেনাকর্তার মধ্যে সাক্ষাৎকে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে ব্যাখ্যা করলেও বর্তমান কূটনৈতিক পরিস্থিতিতে, যে পর্যায়ে ভারতের সাথে ক্রমশ বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে, তাতে ইউনূস এবং পাকিস্তানি সেনাকর্তার বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সূত্রের খবর, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান উভয়পক্ষই তাদের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বকে নতুন স্তরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে।

বৈঠকে কী কী আলোচনা হল দুজনের?

বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউনূস এবং মির্জার বৈঠকে ঢাকা এবং ইসলামাবাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, প্রতিরক্ষা, ব্যবসা সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাকিস্তানের তরফে ইতিমধ্যেই নাকি বাংলাদেশের সাথে সমস্ত দিক থেকে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, সুসম্পর্কের প্রমাণ হিসেবে খুব শীঘ্রই ঢাকা এবং করাচির মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু করার বিষয়েও আশ্বাস দিয়েছেন পাকিস্তানি সেনাকর্তা।

অবশ্যই পড়ুন: সুদ থেকেই আয় হবে প্রায় আড়াই লাখ, বিনিয়োগ করুন পোস্ট অফিসের এই স্কিমে

উল্লেখ্য, পাক সেনাবাহিনীর কর্তা মির্জার সাথে বৈঠকের পর রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন ওপার বাংলার প্রধান উপদেষ্টা। সেই পোস্টে ইউনূস ফলাও করে লেখেন, ‘পাকিস্তানের করাচি এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রামের মধ্যে ইতিমধ্যেই জাহাজ চলাচল শুরু হয়ে গিয়েছে। ঢাকা এবং করাচির মধ্যে বিমান চলাচল শুরু হওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা।’

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join