বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: গত আগস্টেই বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন ও দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই তাঁর অন্যতম ঠিকানা হয়ে ওঠে ভারত। আর তাতেই বেজায় ক্ষুব্ধ মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। সেই মর্মে বারংবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে অনুরোধ করেছিলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস (Muhammad Yunus)।
মোদিকে করা অনুরোধে বলা হয়েছিল, শেখ হাসিনা যাতে ভারতে থেকে রাজনৈতিক বক্তব্য না দিতে পারেন তা দয়া করে নিশ্চিত করুন, তবে তাতে লাভের লাভ হয়েছে কি? সম্প্রতি ব্রিটেনের মাটিতে ভারতের বিরুদ্ধে নালিশ ঠুকতে গিয়ে ইউনূস নিজের মুখেই স্বীকার করে নিলেন মোদির কাজের সেভাবে পাত্তাই পাননি তিনি।
বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে নিজের পর্দা নিজেই ফাঁস করলেন ইউনূস!
লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইউনূস বলেছিলেন, ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রত্যপর্নের চেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে। বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এদিন ভারত থেকে হাসিনার নানান গর্জনের কথা উল্লেখ করে একাধিক মন্তব্য রাখলেও ইউনূসের মন্তব্যে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি ভারতীয় কর্মকর্তারা।
অবশ্যই পড়ুন: বড় খবর, আগামী দিনে বাংলাদেশ সরকারের কোনও দায়িত্বে থাকবেন না মহম্মদ ইউনূস!
লন্ডনের অনুষ্ঠান থেকে ইউনূস আরও জানিয়েছিলেন, গত এপ্রিলে ব্যাঙ্ককে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী মোদির সাথে বৈঠকে ভারত থেকে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক বক্তব্য বন্ধ করতে দিল্লির সাহায্য চাওয়া হয়েছিল, ইউনূস নাকি মোদিকে বলেছিলেন, আপনি হাসিনাকে আপ্যায়ন করলে সেখানে আমার কিছু বলার থাকে না! কিন্তু তিনি যেভাবে কথা বলছেন বাংলাদেশের মানুষ তাতে যথেষ্ট ক্ষিপ্ত।
যাতে উনি এই সব কথা না বলেন শুধু সেটুকুই নিশ্চিত করুন। ইউনূসের সংযোজন, মোদিকে হাসিনার বক্তব্য নিয়ন্ত্রিত করার কথা বলা হলে প্রধানমন্ত্রী নাকি বলেছিলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কিছু বললে সেটা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। সব মিলিয়ে, লন্ডনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে ইউনূসের প্রত্যেক কথার মধ্যে দিয়ে এটাই প্রকাশ পেয়েছে যে, হাসিনাকে নিয়ে মোদির কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা হলেও প্রধানমন্ত্রীর কাছে নাকি পাত্তাই পাননি তিনি।