বড় খবর, আগামী দিনে বাংলাদেশ সরকারের কোনও দায়িত্বে থাকবেন না মহম্মদ ইউনূস!

Published on:

Muhammad Yunus will not hold any position in the next elected government

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বিগত কয়েক মাস ধরেই নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে জল ঘোলা হয়েছে অনেকটাই। তাছাড়াও প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের (Muhammad Yunus) একাধিক অগ্রহণযোগ্য কাজ মেনে নিতে পারছেন না বিরোধীদের একাংশ। আর সেসবের মাঝেই, জনগণ ও বিরোধী পক্ষের চাপে অবশেষ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিয়েছেন ওপার বাংলার প্রধান উপদেষ্টা।

তবে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেও শান্তিতে নেই ইউনূস। নানা মহল থেকে দাবি উঠছে, চলতি মাসের ডিসেম্বরেই আয়োজন করতে হবে নির্বাচন। তাছাড়াও, সরকারি কর্মীদের আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের অভ্যন্তরে নানান বিক্ষোভে একপ্রকার মুখ থুবড়ে পড়েছেন ইউনূস! এমতবস্থায়, হঠাৎ বড় বার্তা দিয়ে দিলেন শান্তিতে নোবেলজয়ী।

বড় সিদ্ধান্ত নিলেন মহম্মদ ইউনূস

বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম সূত্রে যা খবর, জাতীয় নির্বাচনের পর গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকারের অংশ হতে চাইছেন না মহম্মদ ইউনূস। জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জোর দিয়ে বলেছিলেন, আমাদের কাজ হল নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে সুষ্ঠুভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।

তবে নির্বাচনের পরে কোনও দায়িত্বে থাকবেন কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে ইউনূস একেবারে স্পষ্ট জানান, কোনও উপায় নেই, কোনও উপায় নেই। আমার মনে হয়, আমাদের উপদেষ্টা পরিষদের কোনও সদস্যই পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের কোনও দায়িত্বে থাকতে চাইবেন না।

সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে চান ইউনূস

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে, ওপার বাংলার প্রধান উপদেষ্টা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করাই তাঁর অন্যতম উদ্দেশ্য। আসলে বাংলাদেশ প্রধানের প্রধান বক্তব্যই ছিল, তিনি এবং তাঁর উপদেষ্টা পরিষদের সকল সদস্যের প্রধান কাজ হল সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করিয়ে সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দেশের শাসনভার পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের হাতে তুলে দেওয়া। তাই আগামী দিনে আর দেশ চালোনার দায়িত্বে থাকতে চাইছেন না ইউনূস।

অবশ্যই পড়ুন: লজ্জা কমাতে পারেননি রাহানে! IPL শেষ হতেই নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করল শাহরুখের দল

প্রসঙ্গত, এদিন পরবর্তী নির্বাচিত সরকারে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করার পাশাপাশি বাংলাদেশে আওয়ামী লিগের অস্তিত্ব সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস বলেছিলেন, আওয়ামী লিগ যদি তরুণদের হত্যা, গুণ করতে ও চুরি করতে পারে। তাহলে একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে তার পরিচয় নিয়ে বিতর্ক থাকবে। এরপরই সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন করে বসেন ইউনূস! প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আপনি কি এখনও এটিকে একটি রাজনৈতিক দল বলবেন? আসলে ওপার বাংলার প্রধান উপদেষ্টা মনে করেন শেখ হাসিনা দেশ ছাড়া সাথে সাথেই বাংলাদেশে আওয়ামী লিগও ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেছে।

সঙ্গে থাকুন ➥