বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: শেখ হাসিনার পতনের পর একেবারে সসম্মানে বাংলাদেশের সিংহাসনে উঠেছিলেন শান্তিতে নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। বলা চলে, একেবারে বুক ফুলিয়ে নিজেই দেশ চালানোর দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছিলেন তিনি। তবে সেই শাসন ব্যবস্থার মেয়াদ বছরখানেক পেরোতে না পেরোতেই বাংলাদেশে ফের শুরু হয়েছে অস্থিরতা।
চিনের সাথে হাত মিলিয়ে একের পর এক কুঁচুটে বুদ্ধি, পাকিস্তানের সাথে সখ্যতা বৃদ্ধি, সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া, আমেরিকার সমর্থনে মিয়ানমার নিয়ে মানবিক করিডোর, এমন একাধিক বিষয়কে সামনে এনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিঘ্নিত করার অভিযোগ উঠছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার পদত্যাগের হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন ওপার বাংলার প্রধান, যদিও পরবর্তীতে তা নিয়ে নাটকের জল অনেকটাই গড়িয়েছে। এমতাবস্থায়, একের পর এক অভিযোগের মাঝেই ইউনূসের বিরুদ্ধে তাঁর গ্রামীন ব্যাঙ্ক ও সহযোগী সংস্থাগুলিকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল।
দায়িত্ব নিয়ে স্বার্থ মিটিয়েছেন ইউনূস!
বাংলাদেশের সিংহাসনে বসে একের পর এক অমানবিক কাজকর্ম চালিয়ে গিয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী। ভারত বিরোধী পাকিস্তানের সাথে ক্রমশ বন্ধুত্ব বাড়িয়ে মাঝ মাঠে চিনকে জায়গা করে দিয়েছিলেন তিনি। তাছাড়াও ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিমুহূর্তে ওপার বাংলা থেকে গলা ফাটিয়ে গিয়েছিলেন হাসিনা বিরোধী, এবার তাঁর অস্তাচলে যাওয়ার সময় ঘনিয়ে এল! বেশ কয়েকটি সংবাদ সূত্র অনুযায়ী, ইউনূসের বিরুদ্ধে নির্বাচন নিয়ে বিলম্ব বা দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুন্ন করাই নয়, সেই সাথে নিজস্ব প্রতিষ্ঠানগুলিকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলেই খবর।
বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, গত বছরের আগস্টে ওপার বাংলার সিংহাসন দখল করার পর থেকেই নাকি নিজের আখের গুছিয়ে গিয়েছেন ইউনূস! জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের যাবতীয় ক্ষমতা হাতে পেতেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গড়ে আড়ালে নিজের গ্রামীণ ব্যাঙ্ক ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলিকে বেআইনি ও অন্যায্য সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন পদ হারাতে বসা ইউনূস।
অবশ্যই পড়ুন: ছারখার হবে প্রতিপক্ষ, ইস্টবেঙ্গলে ঝড় তুলতে আসছেন তিনি!
ইউনূসের বিরুদ্ধে আরও একাধিক গুরুতর অভিযোগ
জানা যাচ্ছে, নিজস্ব প্রতিষ্ঠানগুলিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার মতো একাধিক অভিযোগের পাশাপাশি শান্তিতে নোবেলজয়ীর বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা অস্বচ্ছ ভাবে দফারফা করা হয়েছিল বলেই খবর। জানা গিয়েছে, ঢাকার গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি নামক একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্য পথে অনুমোদন দিয়েছিলেন ইউনূস।
তাছাড়াও গ্রামীণ ব্যাঙ্কের কর মুকুব ও সরকারিভাবে ব্যাঙ্কের শেয়ারের পরিমাণ 25 শতাংশ থেকে 10 শতাংশে কমিয়ে আনা হয়েছিল এই ইউনূসের নির্দেশই। অন্যদিকে নিজের গ্রামীন এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেড ব্যাঙ্ক লাভজনক জনশক্তি রপ্তানিতে লাইসেন্স পেয়ে গিয়েছিল ইউনূসের হাত ধরেই । সব মিলিয়ে, ক্ষমতার এই অল্প সময়ের মধ্যেই ওপার বাংলার প্রধানের বিরুদ্ধে ভুরিভুরি অভিযোগ জমা পড়েছে।