শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ যত সময় এগোচ্ছে ততই বাংলাদেশের (Bangladesh) চাপ যেন কমার বদলে বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিয়ে বারবার সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে ওপার বাংলাকে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে প্রধান বিদ্যুৎ সরবরাহীকারি সংস্থা ভারতের আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ পাঠানোর মাত্রা কমিয়ে দিয়েছে। ফলে এখন সেই দেশের একাধিক জায়গায় ঘন ঘন লোডশেডিং, দীর্ঘক্ষণ ধরে বিদ্যুৎ না আসা নিত্য সঙ্গী হয়ে উঠেছে। মূলত আদানি পাওয়ারের কয়েক হাজার কোটি টাকা এখনো অবধি শোধ না করায় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠানো কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এসব ঘটনার মাঝেই এবার আসরে নামল বাংলাদেশের হাইকোর্ট। আদালতের তরফে এবার এমন এক নির্দেশ দেওয়া হল যারপরে চমকে গিয়েছেন সকলে। এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে আদালত কী এমন নির্দেশ দিয়েছে? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।
বড় নির্দেশ হাইকোর্টের
ভারতে আদানি গ্রুপের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের সম্পাদিত সব বিদ্যুৎ চুক্তি পর্যালোচনা করে দুই মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। চুক্তি বাতিল বা পুনর্মূল্যায়ন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম আব্দুল কাইয়ুমের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্ট এ আদেশ দেয়। একইসঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগ ও আদানি গ্রুপের মধ্যে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি সংক্রান্ত সব কাগজপত্র আগামী এক মাসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশেষ রুল জারি আদালতের
অন্যায্য ও দেশের স্বার্থবিরোধী এ চুক্তি কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত। চুক্তিটি বিস্তারিত পর্যালোচনার জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটিতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ২৫ বছর মেয়াদি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি করে আদানি। ওই সময় বাংলাদেশে আমদানি করা কোনো কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু ছিল না।
আদানির বাংলাদেশ বিদ্যুৎ সরবরাহ
ঝাড়খণ্ডের ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আদানি গ্রুপের বাংলাদেশ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ০.১০০৮ ডলার বা প্রতি ইউনিট ১২ টাকা। এই হার ভারতের অন্যান্য বেসরকারি উৎপাদকদের হারের চেয়ে ২৭ শতাংশ বেশি এবং ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কারখানার চেয়ে প্রায় ৬৩ শতাংশ বেশি।