এবার এলিয়েন শিকার করবে NASA! ভিনগ্রহীদের খুঁজতে বানাল বিরাট যন্ত্র

Published on:

nasa-alien

কলকাতাঃ সত্যিই কি এলিয়েন বলে কোনও জিনিস আছে? আর যদি থেকেও থাকে তাহলে সেটি কোথায় রয়েছে? এই নিয়ে গোটা বিশ্বের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা খোঁজ চালাচ্ছেন। বছরের পর ধরে ভিনগ্রহীদের অস্তিত্ব আছে কিনা তা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছেন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলি। তবে এবার নাসা এমন এক অসাধ্য সাধন করে দেখাতে চলেছে যেটি সম্পর্কে হয়তো কেউ স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

এলিয়েন খুঁজবে নাসা

সত্যিকারের ভিন গ্রহীদের অস্তিত্ব রয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করতে কোমর বেঁধে ময়দানে নামতে চলেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এই সংস্থা এমন একটি টেলিস্কোপ আবিষ্কার করেছেন যা এলিয়েনদের শনাক্ত করতে পারে। এই যন্ত্রের নাম দেওয়া হচ্ছে এলিয়েন হান্টিং বাইনোকুলার। কী শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই একদম সত্যি।

কী বলছেন বিজ্ঞানীরা?

নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই টেলিস্কোপের সাহায্যে তারা ২০৫০ সালের মধ্যে এমন একটি গ্রহের অনুসন্ধান সম্পূর্ণ করবেন যেখানে ‘মানুষ’ বসবাস করে, অর্থাৎ এলিয়েনরা বাস করে। হ্যাবিটেবল ওয়ার্ল্ডস অবজারভেটরি (HWO) ২০৪০ সালের দিকে এই টেলিস্কোপ উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করেছে। এর লক্ষ্য হবে আমাদের সৌরজগতের বাইরে মহাবিশ্বে এমন একটি গ্রহের সন্ধান যেখানে অন্য কেউ বাস করে কিনা সেটা খুঁজে বের করা। এই মিশনের লক্ষ্য হবে ভিন গ্রহীরা সত্যি রয়েছে কিনা তাও খুঁজে বের করা। নাসার কর্মকর্তারা বলছেন, ‘এত বড় মহাবিশ্বে আমরা একা নই, যারা বাস করছি। এমন অনেক গ্রহ থাকতে পারে যেখানে অন্যান্যরাও দীর্ঘ সময় ধরে বসবাস করছে। আমাদের জন্য কৌতূহলের বিষয় হল তারা আমাদের থেকে মানুষ থেকে কতটা বিবর্তিত? বডি ডিজাইন, কথোপকথন এবং বিজ্ঞান সহ অনেক কিছুতে তারা আমাদের থেকে কতটা আলাদা?’

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

মেগা মিশন নিয়ে বিশ্বাসী বিজ্ঞানীরা

নাসার প্রধান বিজ্ঞানী ড. জেসি ক্রিশ্চিয়ানসেন বলেছেন, সূর্যের মতো একটি নক্ষত্রের বাসযোগ্য অঞ্চলে অবস্থিত একটি গ্রহের বায়ুমণ্ডলে প্রাণের চিহ্ন খুঁজবে HWO। ‘সুপার হাবল’ টেলিস্কোপের এই টেলিস্কোপ অন্য নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করা পৃথিবীর আকারের গ্রহের সন্ধান করবে।

ক্রিশ্চিয়ানসেন বলেন, “আমি বিশ্বাস করি যে আমরা শীঘ্রই বিশ্বের সামনে এমন কিছু তুলে ধরব, যা এখন পর্যন্ত কেবল কল্পকাহিনী ছিল। যাইহোক, আমরা জানি যে আমরা এই জায়গায় একা নই। আমাদের সূর্যের মতো অনেক নক্ষত্র আছে, যার চারপাশে পৃথিবীর মতো গ্রহ আছে, যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব আছে। সুপার হাবলের সাহায্যে খুব শীঘ্রই আমরা এমন একটি গ্রহের সন্ধান পাব।” নাসার এই প্রকল্প দলে রয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী, পদার্থবিদ, ইঞ্জিনিয়ার ও বিজ্ঞানীরা।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group