সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ৯/১১ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার সেই স্মৃতি এখনও সকলের মনে তরতাজা। তবে ওই হামলার মূলচক্রী ওসামা বিন লাদেনের (Osama Bin Laden) মৃত্যুর প্রায় দেড় দশক কেটে গিয়েছে। তবে সেই কুখ্যাত জঙ্গির প্রসঙ্গে এবার এক প্রাক্তন সিআইএ আধিকারিক বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন। তিনি জানালেন, আফগানিস্তানের তোরাবোরা পার্বত্য গুহা অঞ্চলে লাদেনকে কোণঠাসা করেও ধরা সম্ভব হয়নি। সেখান থেকে এক মহিলার ছদ্মবেশে মার্কিন সেনার চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়েছিল ওসামা বিন লাদেন।
কী বললেন ওই অধিকারিক?
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন জন কিরিয়াকউ। তিনি বলেছেন, আমরা চেষ্টা করেছিলাম কোনওভাবেই যাতে আবেগে না ভাসা যায়। তাই একমাস অপেক্ষা করা হয় এলাকাটি সম্পর্কে ভালোভাবে বোঝার জন্য। এরপর আমরা দক্ষিণ ও পূর্ব আফগানিস্তানের পাস্তো এলাকায় আল-কায়েদার ঘাঁটিগুলিতে হামলা চালানো শুরু করি। ২০০১ সালের অক্টোবর মাসে আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে, লাদেন ও আল-কায়েদার সমস্ত নেতারাই তোরা বোরা গুহায় আত্মগোপন করেছে। তবে আমাদের জানা ছিল না যে, সেন্ট্রাল কমান্ডের যে কমান্ডাররা অনুবাদকের ভূমিকা পালন করছিল, তারা আসলে আল-কায়েদারই লোক।
EP-10 with Former CIA Agent & Whistleblower John Kiriakou premieres today at 6 PM IST
“Osama bin Laden escaped disguised as a woman…” John Kiriakou
“The U.S. essentially purchased Musharraf. We paid tens of millions in cash to Pakistan’s ISI…” John Kiriakou
“At the White… pic.twitter.com/pM9uUC3NIC
— ANI (@ANI) October 24, 2025
এদিকে আমরা লাদেনকে নেমে আসতে বললে সে জানিয়েছিল যে সন্ধে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তারপর মহিলা ও শিশুদেরকে আমরা সেখান থেকে বেরোতে দিই। তবে সন্ধ্যার পর দেখতে পাই যে তোরা বোরা গুহায় আর কেউ নেই। তখনই বুঝতে পারি যে, অন্ধকার হতেই শেষ মুহূর্তে লাদেন আত্মগোপন করেছে। তাও এক মহিলার ছদ্মবেশে। পড়ে জানা যায় যে, একটি ট্র্যাকের পিছনে লুকিয়ে সে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ এক ক্লিকেই ফাঁকা হবে ফোনের স্টোরেজ! দারুণ ফিচার নিয়ে এল WhatsApp
উল্লেখ্য, ওই আধিকারিক ১৫ বছর সিআইএ-তে ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের পর সিআইএ জঙ্গিবিরোধী অভিযানের প্রধানের ভূমিকাও পালন করেছিলেন তিনি। এমনকি লাদেনকে খুঁজতে আফগানিস্তানেও হামলা চালিয়েছিল আমেরিকা। কিন্তু লাদেন সেখান থেকেই ওই মহিলার ছদ্মবেশে পালিয়ে যায়। এদিকে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার টুইন টাওয়ারে দু’টি যাত্রীবাহী বিমান ভেঙে পড়ে। আর সেই হামলারও ছক কষেছিলেন লাদেন, এমনটাই খবর। তবে দীর্ঘদিন ধরে তার সন্ধানে মিশন আফগানিস্তান চালিয়েছিল আমেরিকা। কিন্তু কোনও হদিশ মেলেনি তার। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে লুকিয়ে থাকা লাদেনকে মার্কিন সেনারা গুলি করে খতম করে।












