বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: মূলত অবিশ্বাসযোগ্য এবং অযৌক্তিক মন্তব্যের জন্য পরিচিত পাকিস্তানের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা। বারবার ভারতকে আক্রমণ করে পাকিস্তানের তরফে এসেছে নানান অবান্তর মন্তব্য। এবার সেই অভ্যাস ধরে রেখেই ভারত প্রসঙ্গে বড় মন্তব্য করেছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর 2 নং কর্মকর্তা জেনারেল সাহির সামসাদ মির্জা (Pak Army General On Indian Politics)। তাঁর বক্তব্য, ‘সেনাবাহিনীরাই ভারতের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে।’
ভারত প্রসঙ্গে আজব মন্তব্য পাক সেনা জেনারেলের
নবভারত টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সম্প্রতি ভারত প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন পাকিস্তানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল সাহির সামসাদ মির্জা। তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘ভারতের সেনাবাহিনী রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করছে। তারই এখন রাজনীতি হয়ে উঠেছে।’ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ওই কর্মকর্তাকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘ভারতীয় সেনার সিদ্ধান্তেই সে দেশে সবকিছু হয়।’
ফের সন্ত্রাসী হামলার ছক কষছে পাকিস্তান?
পাকিস্তানে এক অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে ভাষণ দেওয়ার সময় পাক সেনাবাহিনীর ওই কর্মকর্তা স্পষ্ট বলেন, ‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সেনাপ্রধানকে জিজ্ঞাসা করে প্রতিটি সিদ্ধান্ত নেন। বিদেশে গিয়ে কোনও বড় বৈঠক হোক কিংবা চুক্তি সব ক্ষেত্রেই প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের বদলে আসিম মুনির পৌঁছে যান।’ এদিন আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে মুনিরের বৈঠকের প্রসঙ্গও তুলেছিলেন সামসাদ।
সম্প্রতি, পাক সেনাবাহিনীর জেনারেলকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘ভারতীয় সেনাবাহিনী রাজনীতিক হয়ে উঠছে। ভারতীয় রাজনীতি সামরিকীকরণের শিকার।’ ভারতের রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখার পাশাপাশি মির্জা কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েই বলেছিলেন, ‘পরবর্তীতে যুদ্ধ হলে তা শুধুমাত্র কাশ্মীরের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না……’ পাকিস্তানের সামরিক কর্মকর্তার এমন মন্তব্য শুনে অনেকেই বলছেন, হয়তো ফের সীমান্তে সন্ত্রাসবাদি হামলার ছক কষছে পাকিস্তান!
অবশ্যই পড়ুন: ২২ না ২৩, এ বছর কবে পড়েছে ভাইফোঁটা? কতক্ষণ থাকছে তিথি জানুন
উল্লেখ্য, ভারতের বিরুদ্ধাচারণ পাকিস্তানের স্বভাবদোষ। সে কথাই নতুন নতুন বিতর্কিত মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে আরও একবার বুঝিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় শীর্ষ কর্মকর্তা জেনারেল সামসাদ মির্জা। এদিনের ভাষণে গত মে মাসের ভারত পাকিস্তান সংঘাতের প্রসঙ্গ টেনে মির্জাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘ভারতের বিরুদ্ধে গত মে মাসের সংগ্রামে পাকিস্তান বুক চিতিয়ে লড়েছে। যদিও একটি তুর্কি যুদ্ধজাহাজ করাচি বন্দরে দাঁড়িয়েছিল, চিন PL15 ক্ষেপণাস্ত্র হস্তান্তর করেছিল পাকিস্তানকে। এদিকে তুরস্ক থেকে এসেছিল টিবি 2 ড্রোন। এছাড়াও স্যাটেলাইট থেকে পাকিস্তানকে নিয়মিত লাইভ ফিড দিচ্ছিল চিন।’ পাক সেনাবাহিনীর ওই শীর্ষ কর্মকর্তার সংযোজন ছিল, ‘ভারত আধিপত্য বিস্তারের জন্য সামরিক শক্তি এবং পশ্চিমা সমর্থনকে ব্যবহার করে।’