বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: মহম্মদ ইউনূস জামানায় বাংলাদেশে অবাধে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছে পাকিস্তানের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা ISI এর বিভিন্ন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সন্ত্রাসীরা। CNN News 18 এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ওপার বাংলায় ইতিমধ্যেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স (Pak ISI In Bangladesh)। শুধু তাই নয়, ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশনে একটি বিশেষ ISI সেলও গঠন করার তোড়জোড় চলছে। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জার চার দিনের বাংলাদেশ সফর ঘিরেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যা ইতিমধ্যেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে ভারতে।
বাংলাদেশের তিন বাহিনীর সাথেই বৈঠক করেন মির্জা
বেশ কয়েকটি সূত্র জানাচ্ছে, ওপার বাংলায় পা দিয়েই প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করার পাশাপাশি বাংলাদেশের তিন সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথেও দেখা করেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। জানা গিয়েছে, পাক জেনারেল মির্জা 8 সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছেছিলেন।
ওপার বাংলার বেশ কয়েকটি সূত্র জানাচ্ছে, মির্জার সাথে বাংলাদেশে যাওয়া 8 সদস্যের প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন, পাকিস্তানের এক সিনিয়র ISI কর্মকর্তা, একজন মেজর জেনারেল এবং পাকিস্তান বিমান বাহিনী ও নৌ বাহিনীর কর্মকর্তারাও। রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের ওই প্রতিনিধির দলটি বাংলাদেশের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা আধিকারিক থেকে শুরু করে তিন বাহিনীর প্রধানদের সাথে একটি বিশেষ বৈঠক সারে।
CNN News 18 এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, মির্জার নেতৃত্বে পাকিস্তানের ওই প্রতিনিধি দল এবং পাক গোয়েন্দা সংস্থা ISI এর সাথে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা বিশেষ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদান প্রদান করেছে। সূত্র বলছে, মূলত বঙ্গোপসাগর এবং ভারতের পূর্ব উপকূলের আকাশ সীমা পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যেই পারস্পরিক সহযোগিতা পরিকল্পনায় সম্মত হয়েছে দুই দেশ। বিশ্লেষকরা বলছেন, একেবারে নাকের ডগায় অর্থাৎ বাংলাদেশের উপরে পাকিস্তানের এমন দাপাদাপি ভারতের জন্য আদতেই হুমকির।
অবশ্যই পড়ুন: ফিরবেন শামি, নেতৃত্ব হারাতে পারেন সূর্য! দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগে ৪ চাঞ্চল্যকর খবর
প্রসঙ্গত, ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশনে পশ্চিমের দেশকে গোয়েন্দা কর্মকর্তা মোতায়েনের অনুমতি দিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। সূত্রের খবর, প্রাথমিক পর্যায়ে এক ব্রিগেডিয়ার, দুজন কর্নেল, চারজন মেজর সহ পাকিস্তানের বিমানবাহিনী এবং নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা ঢাকার হাইকমিশনে জায়গা পেতে পারেন। এদিকে ISI কে প্রবেশাধিকার দেওয়ার বিনিময়ে বাংলাদেশকে সামরিক এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতার করার আশ্বাস দিয়েছে পাকিস্তান। এমতাবস্থায়, দুই শত্রু মিলে ওপার বাংলায় কী ঘোট ঘটানো হচ্ছে সেদিকে কড়া নজর রয়েছে নয়া দিল্লির!












