সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হঠাৎ কেঁপে উঠল আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল (Pakistan Airstrike on Kabul)। জানা গিয়েছে, শহরের কেন্দ্রস্থল আবদুল হক স্কোয়ারের আশেপাশে বিস্ফোরণের শব্দে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করছে, আকাশে বিমানের শব্দ শোনা গিয়েছিল। আর তারপরেই হঠাৎ করে একের পর এক বিস্ফোরণ।
স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কাবুলের ওই এলাকা এমনিতেই ঘনবসতিপূর্ণ। তার উপর সেখানে একাধিক সরকারি ভবন রয়েছে। ফলত, বিস্ফোরণের পর থেকে এলাকায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। তবে আশ্চর্যের বিষয় হল, এই বিস্ফোরণ ঠিক এমন সময় ঘটেছে, যখন আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি ভারত সফরে রয়েছেন।
পাকিস্তানের সতর্কবার্তার পরই হামলা
উল্লেখ্য, ঠিক একদিন আগে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ সংসদে দাঁড়িয়ে আফগানিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, যথেষ্ট হয়েছে। আফগানিস্তানের মাটি থেকে আর কোনও সন্ত্রাসবাদ বরদাস্ত করব না। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, আফগান সীমান্তে সক্রিয় তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান জঙ্গিরা ক্রমাগত পাকিস্তানের উপর হামলা চালাচ্ছে। আর আফগান সরকার তাদের মোকাবিলা করতে ব্যর্থ। তিনি দাবি করেছিলেন, কাবুলের প্রশাসন এই জঙ্গিদেরই আশ্রয় দিচ্ছে। আর ঠিক তার পরের রাতেই ঘটে এই বিস্ফোরণ। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে পাকিস্তান কি ইচ্ছাকৃতভাবে এয়ারস্ট্রাইক চালাল?
The Pakistan Air Force just bombed Kabul and 3 other cities in Afghanistan.
The Taliban are in trouble.
Unprecedented… pic.twitter.com/gxpI81T7Wr
— राजपूत सवित सिंह (@Savit12) October 10, 2025
বেশ কয়েকটি সূত্র দাবি করছে, টিটিপি নেতা নূর ওয়ালি মেহসুদ লুকিয়ে ছিলেন। ঠিক সেই সন্দেহে কাবুলের এক নির্দিষ্ট কম্পাউন্ডে বোমাবর্ষণ করা হয়। তবে আফগান সংবাদমাধ্যম আমু টিভি জানাচ্ছে, হামলাকারীদের মূল লক্ষ্য ছিল মেহসুদ। যদিও পরে টিটিপির পক্ষ থেকে একটি অডিও মেসেজ প্রকাশ করে দাবি করা হয় যে, মেহসুদ বেঁচে আছেন এবং বর্তমানে সুস্থই রয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুজিত বসুর অফিস সহ ১০ জায়গায় ইডি’র হানা
এদিকে এই বিস্ফোরণের পরপরই কাবুলে মোতায়েন হয়েছে তালিবান বাহিনী। আফগান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, শহরে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটছে ঠিকই। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তদন্ত চলছে, আর ক্ষয়ক্ষতির তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। কিন্তু কাবুল প্রশাসন কোথাও সরাসরি পাকিস্তানের নাম এখনও পর্যন্ত উল্লেখ করেনি। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, কূটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষা করার জন্যই হয়তো এখনও মুখ খোলেনি তারা। তবে আপাতদৃষ্টিতে পাকিস্তানের উপরেই আঙুল উঠছে।