সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্তমানে শিরোনামে রয়েছে পাকিস্তান। তীব্র দাবদাহে পুড়ছে, সেইসঙ্গে বন্যার কবলেও পড়েছে দেশটি। এছাড়া পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর নারকীয় জঙ্গি হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জনরোষও বাড়ছে। তবে আজকের এই প্রতিবেদনে পাকিস্তানের এমন একজন ব্যক্তিকে ও তাঁর ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করব যেটি সম্পর্কে জানার পর আপনিও হয়তো চমকে উঠবেন। এমনিতে যত সময় এগোচ্ছে ততই পাকিস্তানের অবস্থা ভিখারির সমান হয়ে যাচ্ছে। ক্রমশ মুখ থুবড়ে পড়ছে সে দেশের আর্থিক অবস্থা। কিন্তু দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সম্পদ এবং জীবনযাত্রা এই সংকট থেকে সম্পূর্ণ আলাদাই ছবি তুলে ধরে।
বিপুল সম্পত্তির মালিক পাক সেনা প্রধান
পাক সেনা প্রধানের সম্পত্তি নিয়ে সম্প্রতি এক রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। আর এই রিপোর্ট দেখে আপনারও চোখ কপালে উঠে যেতে পারে বৈকি। সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, জেনারেল মুনিরের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৬,৭৭,৫৪,৬৩৬ টাকা যা কিনা ৮০০,০০০ মার্কিন ডলার। শুনে আকাশ থেকে পড়লেন তো? কিন্তু রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে। তাঁর এই বিপুল সম্পদ বিভিন্ন ব্যবসা এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে, যা পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা সত্ত্বেও তাকে একজন বিত্তশালী ব্যক্তির তকমা দেয়।
দাবি করা হয় যে নাকি পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দেশে ১০০টিরও বেশি ব্যবসা পরিচালনা করে এবং এটি সেনাপ্রধান এবং অফিসারদের বিশাল আয়ের অন্যতম রাস্তা। পাকিস্তানের রিয়েল এস্টেট খাতে সেনাবাহিনীর আধিপত্য রয়েছে। অর্থাৎ সরকারের পাশাপাশি নানারকম ব্যবসা করে বিপুল অঙ্কের টাকা পাক সেনাবাহিনীর অ্যাকাউন্টে ঢুকছে।
সেনাপ্রধানের ব্যবসা কোটি কোটি টাকার!
পাকিস্তানে, সেনাপ্রধানদের প্রায়শই দেশের সেবা করার চেয়ে তাদের সম্পদ বৃদ্ধিতে বেশি আগ্রহী বলে অভিযোগ করা হয়। প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া থেকে শুরু করে বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির পর্যন্ত এর নাকি জলজ্যান্ত উদাহরণ। যদিও সেনাবাহিনীর প্রধান কাজ দেশ রক্ষা করা, কিন্তু পাকিস্তানে সেনাবাহিনী কেবল প্রতিরক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় সেটা বোঝাই যাচ্ছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীও দেশের অর্থনীতির একটি বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করে।
পাক সেনা প্রধান নাকি ফৌজি ফাউন্ডেশন, আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট, শাহীন ফাউন্ডেশন এবং বাহরিয়া ফাউন্ডেশনের মতো প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। এই প্রতিষ্ঠানগুলো নামে কল্যাণমুখী মনে হতে পারে, কিন্তু বাস্তবে তারা একটি অত্যন্ত শক্তিশালী কর্পোরেট নেটওয়ার্কের অংশ। এই ব্যবসার মাধ্যমে সেনাবাহিনী কেবল অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালীই হয় না বরং পাকিস্তানের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অর্থাৎ জিডিপি বাড়াতে সাহায্য করেন এই সেনা প্রধান। বিখ্যাত লেখিকা আয়েশা সিদ্দিকার বই “মিলিটারি ইনকর্পোরেটেড: ইনসাইড পাকিস্তান’স মিলিটারি ইকোনমি” এই বাস্তবতাকে গভীরভাবে সামনে তুলে আনা হয়েছে। এই বই অনুসারে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কেবল প্রতিরক্ষা খাতে সীমাবদ্ধ নয়, সিমেন্ট, সার, ব্যাংকিং, দুগ্ধ, পরিবহন এবং গৃহায়নের মতো খাতেও এর ব্যাপক ব্যবসায়িক প্রভাব রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ব্যবসার রাস্তা বন্ধ করেছিল ভারত, এবার পাল্টা চাপ দিল বাংলাদেশ! বন্ধ ১০ বড় প্রকল্প
জেনারেল আসিম মুনিরের মোট সম্পদ | Asim Munir net worth |
বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে। একজন পাকিস্তানি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর মতে, অসীম মুনিরের ঘোষিত মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৮ লক্ষ ডলার (প্রায় ৬,৭৭,৫৪,৬৩৬ টাকা)। কিন্তু যদি আমরা এই গোপন ব্যবসাগুলি দেখি, তাহলে তার প্রকৃত সম্পদ এর চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |