বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বেইমান আর পাকিস্তান, খুব সম্ভবত এই দুই শব্দ একে অপরের পরিপূরক, এমনটাই বক্তব্য কূটনীতিবিদদের একাংশের! এবার সেই দাবিকেই ফের জোরালোভাবে প্রমাণ (Pakistan Betrayed China) করে দেখালো পশ্চিমের দেশ। জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের অন্যতম বড় প্রদেশ বালুচিস্তানের বিরল খনিজ সম্পদের জন্য চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের আওতায় থাকা বালুচিস্তানের খনিজ অঞ্চলে বিপুল বিনিয়োগ করেছে ড্রাগনের দেশ।
কিন্তু তা সত্ত্বেও এবারে নাকি বালুচিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ নিয়ে আমেরিকাকে বিরাট প্রস্তাব দিয়ে দিল পাকিস্তান! বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি রুদ্ধদ্বার কক্ষে ট্রাম্পের সাথে বৈঠকের সময় চিনের বিনিয়োগ ভুলে গিয়ে নাকি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বালুচিস্তানের বিরল খনিজ সম্পদ আহরণের প্রস্তাব দিয়েছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জেনারেল আসিম মুনির। যা চিনের জন্য আদতেই বিশ্বাসঘাতকতা!
বালুচিস্তানের খনিজে নজর রয়েছে আমেরিকার
অনেকেই হয়তো জানেন না, পাকিস্তানের 43 শতাংশ জুড়ে থাকা বালুচিস্তানের চিন-পাকিস্তান করিডোরের আওতায় থাকা বিভিন্ন খনিজ ক্ষেত্রগুলিতে কয়েক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ বিনিয়োগ করে ফেলেছে জিনপিংয়ের দেশ। সেই মতোই ওই অঞ্চলের মাটিতে থাকা বিরল খনিজ সম্পদের দাবিদার ড্রাগন। কিন্তু না, অতীতের অভ্যাস ধরে রেখে এবার পাল্টি খেলো পাকিস্তান!
বলে রাখি, দীর্ঘ বহু বছর ধরে বালুচিস্তানের খনিজ ক্ষেত্রগুলিতে প্রবেশের চেষ্টা করছে আমেরিকা। যদিও সেই রাস্তায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে চিন। তবে এবার আমেরিকাকে বালুচিস্তানের খনিজ সম্পদ আহরণের পথটা একেবারে নিজে হাতে দেখিয়ে দিল পাকিস্তান। একাধিক পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ট্রাম্পের সাথে বৈঠকে বালুচিস্তানের খনিজ সম্পদ নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে মুনিরের। আর সেখানেই নাকি, ট্রাম্পকে সেই সব খনিজ সম্পদ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন আসিম মুনির, এমনটাই সূত্রের খবর।
অবশ্যই পড়ুন: ৭৪ দিন আমদানি না করলেও চলবে! ভারতের গোপন তেল ভান্ডারগুলির ঠিকানা জানেন?
ছেড়ে কথা বলবে না চিন
বহু কূটনীতিবিদের মতে, পাকিস্তানের হাত ধরে বালুচিস্তানের ওই খনিজ এলাকা গুলিতে যদি একবার প্রবেশাধিকার পেয়ে যায় আমেরিকা, সে ক্ষেত্রে ট্রাম্প যেসব দেশগুলিকে শত্রু বলে মনে করেন তাদের ওপর নির্ভরতা একেবারে শূন্যতে এসে দাঁড়াবে ওয়াশিংটন ডিসির। বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনের 60 বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের বেশিরভাগ অংশই যেহেতু বালুচিস্তানে, সে ক্ষেত্রে পাকিস্তানের বিশ্বাসঘাতকতা একেবারেই মেনে নেবে না ড্রাগন।
অনেকেই বলছেন, বিপুল অর্থ বিনিয়োগের পরও বালুচিস্তানে যদি আমেরিকা একবার ক্ষমতা পেয়ে যায়, সেক্ষেত্রে তা চিনের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগের হবে। তবে বেশ কয়েকটি সূত্র দাবি করছে, হয়তো বালুচিস্তানে ট্রাম্পের আগমনের আগেই বড়সড় খেল দেখাতে পারে বেইজিং!
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |