বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ফের নিজের জাত চেনাল পাকিস্তান (Pakistan)! মুখে ভাতৃত্ববোধ দেখিয়ে পেছনে ছুরির বসালো সন্ত্রাসবাদের আশ্রয়দাতা! প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি পাকিস্তান ও আজারবাইজানের মধ্যে একটি বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যা মূলত আন্তর্জাতিক মহলে বিরাট আলোড়ন তৈরি করেছে। কিন্তু সেই দেখনদারির আড়ালে আদতে আজারবাইজানের কাছে অন্তত তিনগুণ বেশি দামে 40টি যুদ্ধবিমান বিক্রি করে নিজের লাভ বুঝে নিয়েছে ইসলামাবাদ।
পাকিস্তান-আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা চুক্তি
বেশ কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি বন্ধুদেশ আজারবাইজানের সাথে একটি বৃহৎ প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে পাকিস্তান। যার হাত ধরে বাকুকে অন্তত 40টি যুদ্ধবিমান সরবরাহ করছে ইসলামাবাদ। একাধিক সংবাদমাধ্যম দাবি করছে, আজারবাইজানের কাছে এই যুদ্ধ বিমান গুলি বিক্রি করে অন্তত 4.6 বিলিয়ন ডলার আদায় করছে পাকিস্তান, যা ফাইটার জেটের প্রকৃত মূল্যের থেকে কয়েক গুণ বেশি।
কোন যুদ্ধবিমান কিনবে আজারবাইজান?
পাক বন্ধু আজারবাইজানের তরফে পাকিস্তানের কাছ থেকে 40টি JF-17 থান্ডার যুদ্ধ বিমান কেনার ঘোষণা এসেছে। বেশ কয়েকটি সূত্র অনুযায়ী, এই চুক্তিই আজ পর্যন্ত হওয়া পাকিস্তান ও আজারবাইজানের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি বলেই মনে করা হচ্ছে। যার হাত ধরে পাকিস্তান অন্তত 4.6 বিলিয়ন ডলার আদায় করে নেবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাকুর পেছনে ছুরি মেরে নিজের লাভের অঙ্ক বুঝে নিতে গিয়ে ভাতৃত্বের অপব্যবহার করছে ইসলামাবাদ।
তিনগুণ বেশি দামে যুদ্ধবিমান বিক্রি করছে পাকিস্তান! হিসেব দেখুন
পরিসংখ্যান বলছে, একটি JF-17 বিমান তৈরি করতে গড় খরচ দাঁড়ায় 32 মিলিয়ন ডলার। সেই হিসেবে অনুযায়ী আজারবাইজানকে দেওয়া 40টি যুদ্ধ বিমান তৈরিতে মোট খরচ হওয়া উচিত 1280 মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ 1.28 বিলিয়ন ডলার। কিন্তু পাকিস্তান বন্ধু দেশের কাছ থেকে এই 40টি ফাইটার জেটের বিনিময়ে অন্তত 4.6 বিলিয়ন ডলার আদায় করে নিয়েছে। অর্থাৎ, প্রকৃত মূল্যের থেকে অন্তত তিনগুণ বেশি অর্থ তুলেছে ইসলামাবাদ।
পাকিস্তানের অদ্ভুত অজুহাত
অতিরিক্ত দামে যুদ্ধ বিমান বিক্রির খবর ছড়িয়ে পড়তেই আচমকা নতুন অজুহাত দিতে শুরু করেছে কাঙাল পাকিস্তান। পাকিস্তান দাবি করছে, তারা আজারবাইজানের সাথে যে 40টি JF-17 যুদ্ধবিমান সরবরাহের চুক্তি করেছে, তা মূলত JF-17 ব্লক-III-র সবচেয়ে উন্নত সংস্করণ। এই যুদ্ধবিমান AESA রাডার, উন্নত এভিওনিক্স, PL-15 ও PL-10 ক্ষেপণাস্ত্রের মতো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শক্তিশালী দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উন্নত প্রযুক্তির দোহাই দিয়ে পাকিস্তান যে অর্থ আদায় করেছে তা প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়।
অবশ্যই পড়ুন: বেজায় অসম্মান! ইংল্যান্ডে ভারতীয় দল থেকে বাদ বড় তারকা! এন্ট্রি নেবেন এই তরুণ
প্রসঙ্গত, এতদিন পর্যন্ত নাইজেরিয়া ও মিয়ানমার ছিল JF-17 যুদ্ধবিমানের প্রধান ক্রেতা। তবে পাকিস্তানের সাথে 4.6 বিলিয়ন ডলারের চুক্তির পর বর্তমানে JF-17 যুদ্ধবিমান ক্রয়ের নিরিখে সবচেয়ে বড় রপ্তানি গ্রাহক হয়ে উঠল পাক বন্ধু আজারবাইজান।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |