ঘাড়ে ৭৬,০০০,০০০,০০০,০০০ টাকার ঋণের বোঝা! ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: চারিদিক থেকে ঋণের নিরিখ বিরাট রেকর্ড গড়ল কাঙালের দেশ পাকিস্তান (Pakistan)! আর তাতেই একপ্রকার যায় যায় অবস্থা ইসলামাবাদের! গত সোমবার পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সমীক্ষার এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, 2025 সালের মার্চ মাস পর্যন্ত পাকিস্তানের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে 76 ট্রিলিয়ন ডলারে, ভারতীয় মুদ্রায় যে হিসেবটা 23 লক্ষ কোটি টাকার। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, এই বিপুল অর্থ ঋণ হিসেবে দেনা করে এখন নাভিশ্বাস তুলছে সন্ত্রাসবাদের আশ্রয়দাতা।

পাকিস্তানের কাঁধে বিপুল ঋণের বোঝা

সম্প্রতি প্রকাশিত পাক অর্থনৈতিক সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, বিগত চার বছরে পাকিস্তানের ঋণের পরিমাণ দ্বিগুণ আকার নিয়েছে। বলে রাখি, গত 2020-21 আর্থিক বছরে পাকিস্তানের বৈদেশিক ঋণ ছিল 39,760 বিলিয়ন। যেখানে 10 বছর আগে পাকিস্তানের ঋণের পরিমাণ মাত্র 17,380 বিলিয়ন ছুঁয়েছিল। এবার সেই পাকিস্তানই নাকি বর্তমানে 76 ট্রিলিয়ন ডলারের ঋণ নিয়ে ধুঁকছে!

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, 2020-21 সালে অন্তত 10 গুণ ঋণ বৃদ্ধি পেয়েছে পাকিস্তানের। তবে সেই হিসাবটা যে এত দ্রুত এভাবে বদলে যাবে তা হয়তো কল্পনাও করতে পারেনি সন্ত্রাসবাদের আশ্রয় ও প্রশ্রয়দাতা। বলা বাহুল্য, আগামী 10 জুন সংসদে বাজেট পেশ করতে চলেছে পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন সরকার। আর তার আগেই সোমবার প্রকাশ্যে এলো আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট। আর সেখানেই পর্দা ফাঁস হয়েছে ইসলামাবাদের।

ওই আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে পাকিস্তানের 76 ট্রিলিয়ন ঋণের মধ্যে 51,518 বিলিয়ন দেশের অন্দরের ঋণ ও বাকি 24,489 বিলিয়ন বৈদেশিক ঋণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বিপুল ঋণের বোঝা পাক সরকারের জন্য যথেষ্ট ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কেননা, ঋণ তুলতে তুলতে বর্তমানে পাকিস্তান এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এই বিপুল ঋণের বোঝা পাকিস্তানের গোটা অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে একেবারে চুরমার করে দেবে! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বিপুল ঋণের বোঝা ও সুদের ওপর যদি এখনই নজর দেওয়া না হয় সে ক্ষেত্রে আগামী দিনে পাকিস্তানের কোষাগার ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

অবশ্যই পড়ুন: জিতেও শান্তি নেই RCB-র! কোহলিদের উপর নেমে আসছে BCCI-র শাস্তির খাঁড়া

প্রসঙ্গত, মাত্র কয়েক বিলিয়ন ডলারের জন্য আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার বা IMF-র দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়ানো পাকিস্তান আর্থিক সাহায্য পেয়েছে ঠিকই, তবে সেই অর্থ দিয়ে আদৌ কতদিন চালানো যাবে, তা নিয়ে ভাবার আগেই বিপুল ঋণের বোঝা ঘাড়ে চেপে বসেছে শেহবাজ সরকারের। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের ওই আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে, 2025 আর্থিক বছরের প্রথম 9 মাসে পাকিস্তানের আর্থিক বৃদ্ধি 6.7 শতাংশ ছিল।