দেবপ্রসাদ মুখার্জী: অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্যে রীতিমতো ধুঁকছে পাকিস্তান। দেশের মানুষদের দৈন্য দশা দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ঘটনায়। আর এবার পাকিস্তানের একটি বড় সরকারি সংস্থাকে বেসরকারিকরণের জন্য উদ্যোগ নিলো পাক সরকার। পাকিস্তানের জাতীয় সংসদের বেসরকারিকরণ কমিটিকে সম্প্রতি জানানো হয়েছে যে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স-এর বেসরকারিকরণের প্রক্রিয়াটি আগামী ১লা অক্টোবর শুরু হবে। মঙ্গবার জাতীয় সংসদের বেসরকারিকরণ কমিটির এক বৈঠকে এই ঘোষণা হয়। এই বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন MQM নেতা ফারুক সাত্তার।
৬ কোম্পানির হাতে যাচ্ছে পাকিস্তানের বিমান পরিষেবা
ফারুক সাত্তার বৈঠকে জানান যে, PIA-র বেসরকারিকরণের জন্য মোট ৬ টি কোম্পানিকে ডাকা হবে। কমিটি ইতিমধ্যে এই ৬ টি কোম্পানির মধ্যে প্রাথমিক বাছাই প্রক্রিয়া সেরে নিয়েছে। জানা গেছে, এই কোম্পানিগুলি এখন চূড়ান্ত দরপত্র জমা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি আরো বলেন যে, দরপত্র তৈরির প্রক্রিয়াটি পর্যবেক্ষণের জন্য লাইভ সম্প্রচারের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই জন্য বেসরকারিকরণ মন্ত্রী আলীম খানের সাথে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন সাত্তার।
বেসরকারিকরণ হলেই কর্মী ছাঁটাই শুরু!
ফারুক সাত্তার মঙ্গলবারের এই বৈঠকটিকে PIA-র জন্য ‘বিদায়ী’ বৈঠক বলে সম্বোধন করেন। তিনি বলেন, ১লা অক্টোবর নিলাম প্রক্রিয়াটি চূড়ান্ত হবে এবং PIA বেসরকারি কোম্পানির হাতে চলে যাবে। তবর বেসরকারিকরণ হলেও, সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর, PIA কর্মীদের অধিকার এবং সুবিধাদি নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। সাত্তার আরও আশ্বাস দেন যে, কর্মীদের বেতন, ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধা নিয়ে কোনো ধরনের আপোষ করা হবে না।
কেন বিমান পরিষেবা হাতে রাখলো না সরকার?
পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অর্থনৈতিক এবং প্রশাসনিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। সরকারের মতে, PIA-র বেসরকারিকরণ জরুরি ছিল। এর ফলে চ্যালেঞ্জলি সমাধান করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি, ভবিষ্যতে এ সংস্থাকে লাভজনক ও কার্যকর করে তোলা হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির মধ্যে PIA-র অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো অতিরিক্ত কর্মী সংখ্যা। এই কারণে প্রতিষ্ঠানটি আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বেসরকারিকরণের মাধ্যমে সরকার আশা করছে, নতুন মালিকরা আধুনিক ব্যবস্থাপনা এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটির সেবা ও কার্যকারিতা বাড়াতে পারবে।