বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ভারতের ভয়ে এবার প্রতিবেশ আফগানিস্তানের সাথে সম্পর্ক মজবুত করতে চলেছে পাকিস্তান (Pakistan)! জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি কাবুলে নিজেদের কূটনৈতিক উপস্থিতি বাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পাক সরকার। বেশ কয়েকটি রিপোর্ট বলছে, আফগানিস্তানে পাকিস্তানি দূতাবাসকে রাষ্ট্রদূত পর্যায়ে উন্নীত করার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে পাকিস্তান শুধুই আফগানিস্তানের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করছে না, সেই সাথে তালিবান সরকারের সাথে ভারতের সাম্প্রতিক সম্পর্কের মাঝে ঢাল হয়ে দাঁড়াতে চাইছে।
চাপে পড়ে প্রতিবেশীর সাথে পুরনো সম্পর্ক ফিরিয়ে আনতে চায় পাকিস্তান
সম্প্রতি পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাকদার জানিয়েছেন, কাবুলে চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্সের বর্তমান পদটিকে রাষ্ট্রদূত পর্যায়ে উন্নীত করার মাধ্যমে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সম্পর্ক আরও মজবুত করা হচ্ছে। এই পদক্ষেপ এর মাধ্যমে দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবিরোধী ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা জোরদার করা হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হঠাৎ পাকিস্তানের এমন প্রতিবেশী দরদের নেপথ্যে রয়েছে ভারতের প্রতি ভয়!
ভারতের চাপে পড়েই কূটনৈতিক সম্পর্কে জোর দিল পাকিস্তান!
বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ও আফগানিস্তানের সখ্যতা যে হারে বাড়ছিল তা পাক প্রধানমন্ত্রীর রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল বলা যায়। আর সেই সব বিষয়গুলিকে মাথায় রেখে ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের ভয়ে এবার প্রতিবেশী আফগানিস্তানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ককে রাষ্ট্রদূত পর্যায়ে প্রতিস্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। পাক সরকারের এমন পদক্ষেপ স্পষ্ট করে দেয় যে, মূলত ভারতের চাপ ও আফগান রাজনীতিতে দিল্লির ক্রমবর্ধমান প্রভাবের আশঙ্কায় ভুগছিল পাকিস্তান! আর সেই ধারণা থেকেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
অবশ্যই পড়ুন: শেষ বেলায় পৌঁছেছে IPL! এরই মধ্যে প্রয়াত নিউজিল্যান্ডের এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার
বেশ কয়েকজন আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞ বলছেন, পাকিস্তান এটা বিশ্বাস করে যে, তারা যদি কাবুলে তাদের কূটনৈতিক উপস্থিতি রাষ্ট্রদূত পর্যায়ে না নিয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে আফগান রাজনীতি ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ভারতের প্রভাব ক্রমশ বাড়বে, যা ওদেশে পাকিস্তানের অংশগ্রহণকে অনেকটাই দুর্বল করে দেবে। আর সেই কারণেই, নতুন রাজনৈতিক কৌশল ফেঁদে কাবুলে একটি দূতাবাস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামাবাদ। বলা বাহুল্য, পাকিস্তান যে শুধুই আফগানিস্তানের সাথে সম্পর্ক জোরদার করার পথে হেঁটেছে তেমন নয়, পাশাপাশি ভারতের প্রভাব কীভাবে কমানো যায় তা নিয়েও একের পর এক সভা চলছে পশ্চিম দিকের দেশে।