প্রীতি পোদ্দার, ঢাকা : অশান্তি যেন একদমই পিছু ছাড়ছে না বাংলাদেশের। প্রতিদিন বাংলাদেশে কোনো না কোনো এলাকায় হিংসার আগুন জ্বলছে। সামাজিক পরিস্থিতির পাশাপাশি দিনদিন বিষিয়ে উঠছে সাংস্কৃতিক পরিবেশ। সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর চলছে অকথ্য অত্যাচার। রেহাই পাচ্ছে না কেউই। তাইতো অস্তিত্ব বজায় রাখতে রুখে দাঁড়াচ্ছেন সেখানকার হিন্দুরা। আর এই আবহে পাঁচ দশকের বেশি সময় পর বাংলাদেশে ফিরতে চলেছে পাকিস্তানের সেনা। অর্থাৎ পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফস সাহির শামশাদ মির্জা ফের বাংলাদেশে ফিরছে সেনা অ্যাকাডেমিগুলিতে প্রশিক্ষণের জন্য।
বাংলাদেশে আসছে পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফস
গত আগস্ট মাসে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিদায় নেওয়ার পরই মুহাম্মদ ইউনুস অন্তর্বর্তীকালীন উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত হবে। আর তাঁর যুগের সূচনার মধ্যেই বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সামরিক সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেছে। বদলে গিয়েছে দুই দেশের সম্পর্কের চিত্র। আগে অর্থাৎ ২০২২ সালে শেখ হাসিনা যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন পাকিস্তানি যুদ্ধজাহাজ পিএনএস তৈমুরকে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবেশ করতে দেননি। কিন্তু এখন সেই পাকিস্তানের সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে যৌথ নৌ-মহড়ার প্রস্তুতি চলছে। আর এই আবহে সেনা অ্যাকাডেমিগুলিতে গিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ইউনূস সরকার।
ভারতের ওপর ঘনিয়ে আসছে দুর্যোগের মেঘ
এদিকে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক ভারতের ওপর দুর্যোগের মেঘ ঘনিয়ে আনছে। কারণ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাক সেনাকে দেশছাড়া করেছিল মুক্তিযোদ্ধারা। তখন সেই কাজে বড় সাহায্য করেছিল ভারত সরকার। যার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ছিল গভীর। কিন্তু যেহেতু মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্রমশই পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়ছে তাতে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ মিলে এবার ভারতে জঙ্গির নাশকতা তৈরি করবে। ইতিমধ্যেই ভারতের বন্দর দিয়ে যে বাংলাদেশি পোশাক নানা দেশে যেত সেটা বন্ধ করেছে বাংলাদেশ সরকার।
যদিও কূটনীতিবিদদের আশঙ্কা, বাংলাদেশে রেজিম পরিবর্তনে পাকিস্তানের ISI এর হাত রয়েছে। কারণ বহু বছর ধরে পাকিস্তান ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। অবশেষে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর তারা অনেকটাই সফল হয়েছে।