বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ভারতের বিরুদ্ধে নাকি ব্যবস্থা নিচ্ছে পাকিস্তান! মূলত সিন্ধু জল বন্টন চুক্তি (Indus Water Treaty) স্থগিতের সিদ্ধান্তকে সামনে রেখেই এবার দুই বন্ধু তুরস্ক ও আজারবাইজানকে পাশে নিয়ে দিল্লির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ।
সম্প্রতি, আজারবাইজানের লাচিন শহরে একটি ত্রিদেশীয় সম্মেলনে যোগ দিয়ে সিন্ধু জল বন্টন চুক্তি স্থগিতের বিষয়ে ভারতের সিদ্ধান্তকে কাঠগড়ায় তুলে ক্ষমতার ঊর্ধ্বে গিয়ে কথা বলেছেন শরীফ। ঠিক কী বললেন পশ্চিমের প্রধানমন্ত্রী? জানব।
চতুর্দেশীয় সফরে শেহবাজ
ভারত-পাক সংঘাতের পর হঠাৎ চতুর্দেশীয় সফর করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ। জানা যাচ্ছে, ভারতের সাথে সংঘাত চলাকালীন যেসব দেশের তরফে সমর্থন পেয়েছিল পাকিস্তান, এবার সেইসব বন্ধুদেরকে ধন্যবাদ জানাতেই বিদেশ সফর করলেন শরীফ।
সূত্রের খবর, প্রথমে তুরস্ক সফরে গিয়ে সেখানে প্রেসিডেন্ট রিচেপ এরদোয়ানের সাথে দেখা করেন পাক প্রধানমন্ত্রী, পরবর্তীতে সেখান থেকেই ইরান সফরে যান তিনি। ইরান থেকেই বুধবার পৌঁছেছেন আজারবাইজানে। আপাতত যা খবর বর্তমানে সেখানেই রয়েছেন শেহবাজ। শোনা যাচ্ছে, বন্ধুর জোরেই নাকি লাচিন শহরে ভারতের বিরুদ্ধে গলা ফাটিয়েছেন শরীফ!
সিন্ধু জল বন্টন চুক্তি বাতিল করতে পারবে না ভারত!
বুধবার বন্ধু আজারবাইজানের অন্যতম শহর লাচিনের একটি ত্রিদেশীয় সম্মেলনে যোগ দিয়ে ভারতের সিন্ধু জল বন্টন চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্তকে দুর্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। সেই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ এরদোয়ান। পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, ওই সম্মেলনেই ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষ, কাশ্মীর প্রসঙ্গ ও সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে কথা বলেন শরীফ।
এদিন পাক প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আমরা শান্তি চাই। এজন্য ভারতের সাথে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনায় বসা দরকার। মূলত কাশ্মীর ইস্যু, ভারতের সাথে সম্পর্ক, বাণিজ্য ও সিন্ধু জল বন্টন চুক্তি নিয়েই দিল্লির সাথে আলোচনায় বসতে চেয়েছেন শরীফ। তবে এদিন মীমাংসার কথা বলেও হুঙ্কার ছেড়েছিলেন পশ্চিম দিকের দেশ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। শরীফ বলেছিলেন, সিন্ধু জল বন্টন চুক্তিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ভারত।
এই চুক্তির মাধ্যমে পাওয়া জল 24 কোটি পাকিস্তানবাসীর লাইফলাইন। পাকিস্তানে বয়ে আসা জল বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ভারত, এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু এটা সম্ভব ছিল না, সম্ভব হয়নি, আগামীতেও সম্ভব হবে না। ভারত যাতে জল বন্টন চুক্তি বাতিল করতে না পারে, সেজন্য আমরা উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছি। এরপরই শরীফ জানান, ভারত যদি সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কথা বলতে চায় তাহলে আমরা রাজি। কিন্তু এই সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী পাকিস্তান।
অবশ্যই পড়ুন: আর ফ্রি নয়! WhatsApp-এ প্রতি মেসেজ পিছু লাগবে মোটা টাকা! নিয়ম আনল মেটা
প্রসঙ্গত, আগে বহুবার পাকিস্তানের তরফে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ থেকে দূরে থাকার আশ্বাস পাওয়া সত্ত্বেও ভারতে একাধিক জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি পহেলগাঁও হত্যালীলা পশ্চিম দিকের দেশের প্রতি বিশ্বাস একেবারে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে ভারতের। এমতাবস্থায়, ও দেশের সাথে সংঘর্ষপূর্ণ অবহে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, রক্ত ও জল একসাথে বইতে পারে না। এই মুহূর্তে পাকিস্তানের সাথে যদি কিছু নিয়ে কথা হয়, তাহলে তা হবে শুধুমাত্র পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও সীমান্তে জঙ্গি কার্যকলাপ নির্মূল করার প্রসঙ্গে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |