বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: দীর্ঘ পরিকল্পনার পর কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হামলা চালিয়েছিল পাক মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা। আর সেই জঙ্গি হামলার পরই 26 জন নিরাপরাধকে হারিয়েছে ভারত। তবে সেই অপরাধের শাস্তি পাচ্ছে পাকিস্তান (Pakistan)! প্রধানমন্ত্রীর কথামতো ইতিমধ্যেই ভারতের সাথে একাধিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে সে দেশের!
সিন্ধু জল বন্টন চুক্তি বাতিল থেকে শুরু করে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য স্থগিত ও আকাশ সীমা বন্ধের মতো একাধিক সিদ্ধান্তে অটল দিল্লি। এহেন আবহে কূটনৈতিক ক্ষেত্রে যাবতীয় ধাক্কার পর এবার ভারতের আক্রমণের আশঙ্কায় দিন গুনছে পাকিস্তানিরা! পরিস্থিতি যখন এতটাই জটিল ঠিক সেই মুহূর্তে ভয়ে পালিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে ক্যাবিনেট মন্ত্রীরা! এবার তা নিয়েই কার্যত অগ্নিশর্মা হয়ে উঠলেন JUI-F প্রধান তথা পাকিস্তানি MP মওলানা ফজলুর রহমান।
রাগে ফুঁসছেন পাক MP
মঙ্গলবার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অধিবেশনে পৌঁছেছিলেন পাকিস্তানি সাংসদ ফজলুর রহমান। সংসদের অধিবেশন কক্ষে গিয়ে দেখেন সেখানে উপস্থিত নেই প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিদেশ মন্ত্রী, ক্ষমতাসীন সরকারের কেউই। আর তা দেখেই কার্যত রাগে ফুঁসতে থাকেন রহমান। শেষ পর্যন্ত, কিছু বুঝতে না পেরে একরাশ ক্ষোভ নিয়ে সংসদ থেকে বেরিয়ে যান JUI-F প্রধান ফজলুর রহমান।
অবশ্যই পড়ুন: চালান নয়, এবার ট্রাফিক আইন ভাঙলে লাইসেন্সে যুক্ত হবে নেগেটিভ পয়েন্ট! আসছে নয়া নিয়ম
রহমানের বক্তব্য
এদিন সংসদ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগে, মেম্বার অফ পার্লামেন্ট রহমান জানিয়েছিলেন, অনেক উৎসাহ নিয়ে অধিবেশনে এসেছিলাম। কিন্তু এসে দেখি সরকার পক্ষের বেঞ্চ প্রায় খালি। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিদেশ মন্ত্রী, ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের অনেকেই এখানে নেই। রহমানের বক্তব্য ছিল, সরকারের উচিত দেশের পরিস্থিতি সংসদে জানানো। দেশের সেনারা কী অবস্থায় আছে তা সাধারণ মানুষ জানে না।
আরও পড়ুনঃ তলে তলে এত্ত কিছু! ভারত, পাকিস্তান উত্তেজনার ফায়দা নিয়ে বিরাট ফন্দি আঁটল বাংলাদেশ
সরকারের উচিত ছিল এ বিষয়ে সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়ানো। এদিন ফজলুর আরও বলেন, দেশে যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতি! ভারত যদি এই মুহূর্তে পাকিস্তান আক্রমণ করে তাহলে আমাদের কাজ কী হবে? দেশের নেতা মন্ত্রীদের এ নিয়ে কোনও মাথা ব্যথা নেই! প্রধানমন্ত্রী, বিদেশ মন্ত্রিসহ অন্যান্যরা সকলেই বেপাত্তা! তাঁরা এখন কোথায়? একপ্রকার জবাব চেয়েই পাক সরকারকে দুষেছেন সাংসদ রহমান।