সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: সম্প্রতি পড়শী দেশে ঘটে যাওয়া এক ট্রেন (Pakistan Railway) হাইজ্যাকের ঘটনার পর গোটা দেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বেলুচ আর্মি কার্যত পাকিস্তানকে কঠিন বার্তা দিয়েছে। সূত্র বলছে, তারা প্রায় ৫০০ যাত্রী বহনকারী একটি ট্রেন দিনদুপুরে হাইজ্যাক করে। আর এর পর থেকেই পাকিস্তানে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। শোনা যাচ্ছে পাকিস্তান রেলওয়ে রাতের বেলা নাকি বেলুচিস্তানে ট্রেন চালানোর ভয়ে থরথর করে কাঁপছে!
হাইজ্যাকের পর ট্রেন চলাচলের সংকট
রবিবার রাতে করাচি থেকে কোয়েটা যাওয়ার পথে বোলান এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাকোবাবাদ স্টেশনে পৌঁছানোর পর হঠাৎ থমকে যায়। স্টেশন মাস্টারের কাছে নির্দেশ দেওয়া হয় যে, ট্রেনটির নিরাপত্তার কারণে আর সামনের দিকে এগোতে পারছে না।
আর এই কারণে ১৫০ জন যাত্রীকে ট্রেন থেকে নামিয়ে বাস বা অন্যান্য যানবাহনে করে কোয়েটা পাঠানো হয়। পাকিস্তান রেলওয়ের সিইও জানিয়েছেন, রাতের বেলা ট্রেন চালানো এখন খুব ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে এবং সিবি পৌঁছালে পরিস্থিতি আরও বিপদজনক হতে পারে।
যাত্রীরা ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছে..
এই ঘটনার পর ট্রেনের যাত্রীরা কার্যত ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা অভিযোগ তুলছে, ট্রেনটি মাঝপথে থামানো সরকারের ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই নয়। এও শোনা যাচ্ছে, পাকিস্তান রেলওয়ে নাকি বোলান মেইল ট্রেনের সময়সূচী পরিবর্তন করছে। আর এই নতুন সময়সূচি অনুযায়ী এই ট্রেনটি দুপুর ৩টার সময় করাচি থেকে রওনা দেবে, যাতে রাতের বেলা ট্রেন চালাতে না হয়।
জাফর এক্সপ্রেস ট্রেন হাইজ্যাকের পর পাকিস্তানে আতঙ্ক
সম্প্রতি বেলুচ লিবারেশন আর্মি পাকিস্তান রেলওয়ের জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে দিনদুপুরে হাইজ্যাক করে নেয়। প্রায় ২৪ ঘন্টা পর এই অপারেশন সফল হয় এবং ১০ জন পাঞ্জাবি যাত্রী মারাও যান। আর এই ঘটনার পর পাকিস্তান রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের মধ্যে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। ফলে তারা ঝুঁকি নিতে চাইছে না। বিশেষ করে রাতে বেলুচিস্তানে ট্রেন চালানো সবথেকে ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পাকিস্তানকে কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলছে বেলুচ আর্মি
এখন বেলুচিস্তান পাকিস্তানের সব থেকে বড়, কিন্তু সবথেকে কম জনবহুল প্রদেশ। সূত্র বলছে, জায়গাটি অপরিসীম তেল, গ্যাস এবং খনিজ সম্পদ পরিপূর্ণ। আর এই কারণেই বেলুচ আর্মি স্বাধীনতার জন্য দিনের পর দিন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে এবং তারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করেও হামলা চালাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ম্যান অফ দ্যা ম্যাচকে হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে হাসির খোরাক পাকিস্তান সুপার লিগ!
তবে আগামী দিনগুলোতে এই সংকট সমাধান হবে কিনা তা সময়ই বলে দেবে। কিন্তু একটি বিষয় স্পষ্ট, পাকিস্তানের অবস্থা দিনের পর দিন আরও বিপদজনক হয়ে উঠছে।