বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ভারতের এক সিদ্ধান্তেই রাস্তায় বসেছে পাকিস্তান (Pakistan)! সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের সাথে সমস্ত ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার পর কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে পশ্চিমের অর্থনীতি! তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করার পাশাপাশি ইসলামাবাদ থেকে একটি বিশেষ পণ্য আমদানি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দিয়েছে দিল্লি। আর সেই কারণেই এবার একপ্রকার রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ক্রেতা খুঁজতে হচ্ছে ইসলামাবাদকে।
কোন পণ্যের জন্য নাজেহাল অবস্থা পাকিস্তানের?
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পরই সিন্ধু জল বন্টন চুক্তি স্থগিত করে পাকিস্তানকে প্রথম শিক্ষাটা দিয়েছিল ভারত। এরপর অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসের দেশে কার্যত তাণ্ডব নৃত্য চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। বায়ুসেনার বিমান থেকে একের পর এক মিসাইল হামলায় গুঁড়িয়ে গিয়েছে পাক জঙ্গিদের আস্তানা। মৃত্যু হয়েছে শতাধিক সন্ত্রাসীর। আর এসবের মাঝেই পশ্চিমের দেশের সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্কের পাশাপাশি সমস্ত ধরনের সম্পর্ক একেবারে শেষ করেছে দিল্লি।
আর সেই সূত্র ধরেই, পশ্চিমের দুর্বল অর্থনীতি আরও কিছুটা দুর্বল হয়েছে। তবে বিশেষত যে পণ্যের জন্য পাকিস্তানের ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভর করতে হতো ভারতকে, এবার সেই পণ্য নিয়েই ক্রেতা খুঁজতে একপ্রকার দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে পাকিস্তান। জানা গিয়েছে, রক সল্ট বা সন্দক লবণ অথবা শিলা লবণের রপ্তানি নিয়ে বিরাট দুশ্চিন্তায় পাকিস্তান।
বেশ কয়েকটি রিপোর্ট বলছে, ভারতের সাথে বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার পর পাকিস্তানের ব্যবসায়ীরা এখন রক সল্ট বিক্রি করতে নতুন বাজার খুঁজছেন। তবে শেষ পর্যন্ত পুরনো রপ্তানির ঘাটতি মেটানো যাবে কিনা তা নিয়ে এখন রাতের ঘুম উড়েছে পশ্চিমের রপ্তানিকারকদের।
শিলা লবণের অন্যতম বড় উৎপাদক পাকিস্তান
বলে রাখি, শিলা লবণ বা সন্দক লবণ উৎপাদনকারী দেশগুলির তালিকায় একেবারে প্রথম সারিতে নাম রয়েছে পাকিস্তানের। দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশে অবস্থিত খেওড়া পাকিস্তানের বৃহত্তম শিলা লবণ খনি। যেখানে অন্তত 30টি প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট রয়েছে। বলা বাহুল্য, গতবছর অর্থাৎ 2024 সালে পাকিস্তান মোট 3,50,000 টন শিলা লবণ রপ্তানি করেছিল। যার আনুমানিক মূল্য অন্তত 120 মিলিয়ন ডলার। তবে আপাতত সেই শিলা লবন নিয়ে মাথায় বাজ পড়েছে পাকিস্তানের! পাওয়া যাচ্ছে না যোগ্য ক্রেতা।
পাকিস্তানের মিথ্যাচার
একটা সময়ে অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি পাকিস্তান থেকে ভারত যে সবচেয়ে বেশি শিলা লবণ আমদানি করতো সে কথা জানতে বাকি নেই কারোরই। আর সেই সূত্র ধরেই বলা চলে, খেয়ে পড়ে বেঁচেছিল পাকিস্তান। অর্থাৎ পাকিস্তান থেকে শিলা লবণ রপ্তানিকারক শীর্ষ তিন দেশের তালিকায় রয়েছে ভারতও। এদিকে, পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের একাংশ বলছে, ভারত পাকিস্তান থেকে শিলা লবণ আমদানি বন্ধ করায় তাদের কোনও ক্ষতি হচ্ছে না!
গোটা বিশ্বে শিলা লবণের বিপুল চাহিদা রয়েছে। কারণ এই পণ্যটি অত্যন্ত উপকারী। শুধু তাই নয়, পাক রপ্তানিকারকদের দাবি, ভারতে তারা লবণ রপ্তানি করতেন 45 থেকে 50 টাকা কিলো দরে! এখন নাকি সেই লবণ 70 থেকে 80 টাকা কেজিতে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে!
অবশ্যই পড়ুন: ইংল্যান্ড সিরিজের মাঝেই বিদেশিনীর প্রেমে মজেছেন যশস্বী জয়সওয়াল? ফাঁস হল ছবি!
উল্লেখ্য, ভারত আমদানি বন্ধ করে দেওয়ায় মুখে না বললেও আদতে শিলা লবন নিয়ে যথেষ্ট চাপে পড়তে হচ্ছে পশ্চিমের রপ্তানিকারকদের। তবে বুক ফেটে গেলেও মুখ ফুটছে না তাদের। এ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের এক রপ্তানি কারক জানিয়েছেন, আমরা এবার আমেরিকা, ভিয়েতনাম, চিন, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, ব্রাজিল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জাপান, চিলি, রাশিয়া, আফ্রিকার মতো একাধিক দেশে শিলা লবণের রপ্তানি বাড়াতে চলেছি।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |