বিফলে গেল ব্যালিস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা! মুখ থুবড়ে পড়ল পাকিস্তানের শাহীন-৩

Published on:

Pakistan Shaheen 3 ballistic missile Crashed Near nuclear facility

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বিফলে গেল পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র বহনকারী ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শাহীন-3 এর পরীক্ষামূলক কর্মসূচি! একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার পাকিস্তানের ডেরা গাজি খানের রাখশানি অঞ্চল থেকে শাহীন-3 ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের পর সেটি ট্র্যাক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বালুচিস্তানের ডেরা বুগতি জেলার ম্যাট অঞ্চলে পারমাণবিক স্থাপনার কাছে ভেঙে পড়ে!

সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, পাকিস্তানের এই ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি যে অঞ্চলে বিধ্বস্ত অবস্থায় ভেঙে পড়ে সেখান থেকে মাত্র 500 মিটার দূরত্বে ছিল স্থানীয়দের বসতি। এদিকে ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় এবার আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে ইসলামাবাদের সামরিক দক্ষতা নিয়ে।

একই সাথে ক্ষেপণাস্ত্রটির ভয়াবহ বিস্ফোরণ স্থানীয়দের মধ্যে নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ বাড়িয়েছে। বেশ কয়েকটি সূত্র মারফত খবর, ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট জারি করেছে পাক সেনাবাহিনী। শুধু তাই নয়, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকেও নাকি সেই খবর প্রচার করতে নিষেধ করেছে পাক সেনা!

শত্রুর ড্রোন হামলার আশঙ্কা করছেন অনেকেই

রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটির বিস্ফোরণ এতটাই তীব্র ছিল যে, সেই শব্দ নাকি অন্তত 20-50 কিলোমিটার দূর পর্যন্ত শোনা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, বালুচিস্তান এবং খাইবার পাখতুনখোয়ার বাসিন্দারাও নাকি ওই বিস্ফোরণের প্রতিধ্বনি পেয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ কেন এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা বিফলে গেল তা বুঝে উঠতে পারছেন না অনেকেই।

যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, ওই ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষামূলক কর্মসূচির আগে যে ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত তা নেয়নি পাকিস্তান! পাকিস্তানের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় ব্যর্থতার নেপথ্যে অনেকেই বেশ কিছু প্রযুক্তিগত ত্রুটিকে দায়ী করছেন। তবে কেউ কেউ আবার, ব্যালিস্টিক মিসাইলটির ধ্বংসের কারণ হিসেবে শত্রুপক্ষের ড্রোন হামলাকে দায়ী করেছেন। পাকিস্তানের একাংশের বক্তব্য, শত্রুর ড্রোনের আঘাতেই হয়তো ক্ষেপণাস্ত্রটির এমন অবস্থা হল!

 

অবশ্যই পড়ুন: ফের উত্তাল বাংলাদেশ! শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে পথে পড়ুয়ারা, চলল লাঠিচার্জ

প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকটি রিপোর্ট দাবি করছে, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বিফলে যাওয়ায় বিস্ফোরণের ঘটনার পর পাক সেনাবাহিনীর তরফ প্রথমে ওই ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলির ইন্টারনেট পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই সাথে, সংবাদমাধ্যমগুলিকে ওই ঘটনা প্রচারের ক্ষেত্রেও বাধা দেওয়া হয় বলেই খবর! বিশ্লেষকদের মতে, অপমান এড়াতে গোটা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল পাক সেনা!

সঙ্গে থাকুন ➥