বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: সৌদি আরবের পাশাপাশি পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ার সাথেও প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে পাকিস্তান। জানা যাচ্ছে, গত 28 আগস্ট আফ্রিকার এই দেশটির সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তিতে সই করে পশ্চিমের দেশ (Pakistan-Somalia Defence Deal)। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হর্ন অফ আফ্রিকায় প্রভাব বিস্তার করতেই এমন পদক্ষেপ পাকিস্তানের। জানা যাচ্ছে, মূলত 5 বছরের জন্য পাকিস্তান এবং সোমালিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে বিশেষ প্রতিরক্ষা চুক্তি।
সোমালিয়ার কর্মীদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেবে পাকিস্তান
দ্য সানডে গার্ডিয়ানের রিপোর্ট অনুযায়ী, 5 বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তির অধীনে পাকিস্তান এবার সোমালিয়ার কর্মচারীদের পাকিস্তানি সামরিক কলেজে প্রশিক্ষণ দেবে। সূত্রের খবর, সোমালিয়ার নৌ বাহিনীকে আরও আধুনিক করে তুলতে এবং দেশটির অন্যান্য অন্যান্য সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের উন্নত যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করে তুলতেই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালাবে পাকিস্তান।
একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তান সোমালিয়াকে জলদস্যুতা প্রতিরোধী অভিযানে সাহায্য করার পাশাপাশি একটি নতুন নৌ ইউনিট গঠনেও সহায়তা করবে। দ্য সানডে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মূলত বন্ধু তুরস্কের সাহায্য নিয়েই সোমালিয়া সাথে বিশেষ প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে পাকিস্তান। যার লক্ষ্য, সোমালি উপকূলে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ জলসীমায় ইসলামাবাদের সামরিক উপস্থিতি এবং গোয়েন্দা উপস্থিতি প্রসারিত করা।
অবশ্যই পড়ুন: কীভাবে বিনামূল্যে দেখবেন মহিলা বিশ্বকাপে ভারত-পাক ম্যাচ? রইল ওয়েদার রিপোর্টও
সোমালিয়া এবং পাকিস্তানের মধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তির অর্থ কী?
প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তান এবং সোমালিয়ার মধ্যে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তাতে কোনও আন্তর্জাতিক সংস্থা, আফ্রিকান ইউনিয়ন বা জাতিসংঘের ভূমিকা নেই। এই চুক্তিটি আসলে আফ্রিকান ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘের বিদ্যমান কাঠামোর বাইরে, যা মূলত আঞ্চলিক সহযোগিতার ঐক্যকে প্রবাহিত করে।
বলা বাহুল্য, বিগত কয়েক বছরে জলদস্যুর সন্ত্রাস উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। 2008 সালে সোমালি জলদস্যুরা মার্কাস আলাবামা নামক একটি আমেরিকান কার্গো জাহাজকে অপহরণ করে এবং তার ক্যাপ্টেনকে আটক করে। তাছাড়াও এডেন উপসাগরের উপর থেকে যাওয়া বিভিন্ন জাহাজে জলদস্যুদের আক্রমণের কারণে বিশ্ব বাণিজ্য প্রভাবিত হয়েছে। তবে পাকিস্তানের সাথে চুক্তির পর এবার তা আটকানো যাবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।