সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে এমনিতেই উত্তেজনা তুঙ্গে (2025 India-Pakistan Standoff)। দুই পারমাণবিক শক্তিসমৃদ্ধ দেশের মধ্যে এবার চলছে সামরিক অভিযান। যদিও এখন সাময়িকভাবে যুদ্ধ এড়াতে মার্কিন যুদ্ধ বিরতি কার্যকর করা হয়েছে। তবে এরই মধ্যে ভারত যা করল, তা পাকিস্তানের একেবারে রাতারাতি ঘুম কেড়ে নেওয়ার মতো।
শুরুটা পহেলগাঁও থেকেই
কমবেশি আপামর জনগণ সবাই অবগত যে, এই উত্তেজনার সূত্রপাত গত 22 এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের এক জঙ্গি হামলা দিয়ে। হ্যাঁ, পাকিস্তানি মদতপুষ্ট এক সন্ত্রাসী হামলায় নিরীহ 26 জন ভারতীয় পর্যটক প্রাণ হারান। এর মোক্ষম জবাব দিতে গিয়ে ভারত 7 মে চালু করে অপারেশন সিঁদুর। যার মূল লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাসের দেশের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে গুড়িয়ে দেওয়া এবং সামরিক পরিকাঠামোতে বিরাট আঘাত হানা।
অপারেশনের প্রথম ধাক্কাতেই ভারতের সাফল্য ছিল নজরকাড়ার মতো। মাত্র 26 মিনিটেই ধ্বংস করে দেওয়া হয় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গি ঘাটিকে। সেনাদের সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, এই আক্রমণে প্রায় 100 জন জঙ্গির মৃত্যু হয়। এমনকি প্রতিটি লক্ষ্য নিখুঁতভাবে করা হয়েছিল।
ব্যর্থ পাকিস্তানের হামলা
এদিকে এই আকস্মিক আক্রমণে পাকিস্তান মুখ থুবড়ে পড়ে। তড়িঘড়ি তারা পাল্টা আক্রমণ হানতে যায় ভারতের উপর। তবে তা খুব একটা সফল হয়নি। 15 টি ভারতীয় শহরে পাকিস্তান মিসাইল এবং ড্রোন হামলার চেষ্টা করেছিল। তবে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এগুলিকে আকাশেই গুঁড়িয়ে দেয়। বিশেষভাবে লাহোর ও করাচির এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমে ভারতীয় হামলায় বিরাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিতেও বিরাট আঘাত
এদিকে 10 মে সকালে ভারতের পক্ষ থেকে সবথেকে বড় জবাব আসে। ভারতীয় বায়ু সেনা রাতারাতি আটটি পাকিস্তান সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ করে হামলা চালায়। আর যার মধ্যে অন্যতম ছিল রফিকি, মুরিদ, রাহিম ইয়ার খান, সিয়ালকোট ইত্যাদি। ভারতের নিশানা ছিল মূলত রাডার ইউনিট, অস্ত্রভাণ্ডার, এয়ারপোর্ট ও কমান্ড সেন্টারগুলিকে গুঁড়িয়ে দেওয়া। উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং জানিয়েছেন, এই হামলায় পাকিস্তানের বিরাট ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ নেতৃত্ব ফিরে পেতে চেয়েছিলেন বিরাট! আশা পূরণ না হওয়ায় অবসর? প্রকাশ্যে আরও দুই চাঞ্চল্যকর তথ্য
তবে 11 মে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা সত্ত্বেও পাকিস্তান ফের LoC-তে যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন করেছে। এমনকি গুলিবর্ষণ করে ভারতের উপর। যদিও ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর আঁটোসাঁটো বেধেই প্রস্তুত ছিল। সূত্রের খবর, সময়মতো প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে S-400, আকাশ, বারাক-8 ও মিসাইল সিস্টেম। যা দিয়ে এক্কেবারে পাকিস্তানের পাল্টা আক্রমণকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |