বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: শীঘ্রই প্যালেস্টাইনের গাজা উপত্যকায় 20,000 সেনা মোতায়েন করবে পাকিস্তান (Pakistan To Deploy Troops In Gaza)। জানা যাচ্ছে, গাজার স্থিতিশীলতা ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠা কর্মসূচির আওতায় এই কাজ করবে পশ্চিমের দেশ। যদিও পাক সেনাবাহিনীর এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন পাকিস্তানের বহু প্রাক্তন কূটনীতিক থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞরা।
বৈঠকের পরই হয়েছে সিদ্ধান্ত
CNN-News 18 এর রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি মাসের শুরুতে ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মেসাদের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেসাদ এবং সিনিয়র মার্কিন সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির সাথে একটি গোপন বৈঠক করেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান আসিম মুনির। শোনা যাচ্ছে, ওই বৈঠকেই নাকি সিদ্ধান্ত হয়েছে, গাজায় 20,000 এর কাছাকাছি সেনা মোতায়েন করবে পাকিস্তান। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয়, এই পাকিস্তানই ইজরায়েলকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না।
পাক সেনাবাহিনীর সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেছেন পাকিস্তানি সাংবাদিক
গাজায় পাক সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পাকিস্তানের সাংবাদিক মইদ পিরজাদা নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছেন। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘সুতরাং আপনি বলতে চাইছেন যে সেনাবাহিনীর মুসলিম পরিচয় এবং পাকিস্তানি জাতীয়তাবাদ একটি ইচ্ছাকৃত চক্রান্ত ছিল? এবং আসল পরিচয়টি ব্রিটিশদের দ্বারা নির্মিত আর্মি ইউনিটের চারপাশে তৈরি করা হয়েছিল? যেমন বেলুচ রেজিমেন্ট, এ কে, পাঞ্জাব ইত্যাদি?’
পিরজাদার পাশাপাশি পাকিস্তানের আরও এক সিনিয়র সাংবাদিক আয়েশা সিদ্দিকী সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনিদের হত্যা করেছে।’ তবে ওই সাংবাদিক নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা 3,000 দেখালেও বাস্তবে সেই সংখ্যা 25,000 ছাড়িয়ে গিয়েছে।
অবশ্যই পড়ুন: এই কারণে MI ছেড়ে অধিনায়ক হিসেবে KKR এ যোগ দিতে পারেন রোহিত শর্মা
So you are saying that “Muslim identity” & “Pakistani Nationalism” of Army was a carefully constructed charade? And actual identity was built around “Army Unit” as by British? Baluch Regiment, AK, Punjab etc? @iamthedrifter https://t.co/PX5iHxFCvy
— Moeed Pirzada (@MoeedNj) October 27, 2025
প্রসঙ্গত, রিপোর্ট বলছে, শেষ পর্যন্ত পুনর্বাসন কর্মসূচির অংশ হিসেবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে যদি গাজায় মোতায়েন করা হয়, সেক্ষেত্রে হামাসের বাকি সশস্ত্র জঙ্গিদের হত্যার জন্য দায়ী থাকবে একমাত্র পাকিস্তান। শোনা যাচ্ছে, পশ্চিমা দেশগুলির সাথে সামঞ্জস্য রেখেই গাজায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব পেয়েছে পাকিস্তান। আপাতত যা খবর, এই বিরাট কর্মসূচিতে ইন্দোনেশিয়া এবং আজারবাইজানের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে পাকিস্তানকে।












