শ্বেতা মিত্রঃ ভারতের পাশাপাশি বিদেশের মাটিতেও যে তাঁর জৌলুস ঠিক কতটা, তা ফের একবার প্রমাণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বর্তমানে তিন দিনের মার্কিন সফরে রয়েছেন তিনি। এদিকে মোদীকে সম্মান জানাতে আমেরিকার তরফে “মোদী অ্যান্ড ইউএস” অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বহু প্রবাসী ভারতীয়। রবিবার অনুষ্ঠিত হওয়া এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যা বললেন তা শুনে চমকে গিয়েছেন সকলে।
বড় বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর পুরনো দিনের গল্প শোনালেন। তিনি জানিয়েছেন যে দেশের জন্য তিনিও প্রাণ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিশেষ এক কারণে সেই কাজটি তিনি আর করে উঠতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘নিয়তি আমাকে রাজনীতিতে ঠেলে দিয়েছে। আমি কখনও ভাবিনি যে আমি একদিন মুখ্যমন্ত্রী হব।’ প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন যে, ‘ আমার জীবনের একটি অংশ ছিল যেখানে আমি বহু বছর ধরে দেশে ঘুরেছি। সেটাও একটা সময় ছিল যখন আমি অন্য কিছু ঠিক করেছিলাম, কিন্তু ভাগ্য আমাকে রাজনীতিতে ঠেলে দিয়েছিল। আমি কখনও ভাবিনি যে একদিন আমি মুখ্যমন্ত্রী হব, এরপর যখন মুখ্যমন্ত্রী হলাম তখন বেশি সময়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার তকমা পেলাম।’
‘প্রাণ দিতে চেয়েছিলাম’
আমেরিকার অনুষ্ঠানে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, ‘যখন স্বাধীনতা সংগ্রাম চলছিল, তখন হাজার হাজার মানুষ জীবনের বলিদান করেছিলেন। আমি স্বরাজের জন্য জীবন দিতে পারিনি, কিন্তু আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমার জীবন সু-রাজ (সুশাসন) ও সমৃদ্ধ জীবনের জন্য অর্পণ করব। প্রথম দিন থেকেই এটিই লক্ষ্য ছিল।’
এরপর প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘গত ১০ বছরে ভারতে কোটি কোটি মানুষ বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছেন, কোটি কোটি শৌচাগার তৈরি হয়েছে। ভারতবাসী শুধু রেল যোগাযোগ নয়, উচ্চগতির যোগাযোগ চায়, ভারতের প্রতিটি শহর প্রত্যাশা করে এখানে মেট্রো চলবে, দেশের প্রতিটি নাগরিক এবং প্রতিটি গ্রাম-শহর এখানে সেরা সুযোগ-সুবিধা পেতে চায়। ২০১৪ সালে ভারতের মাত্র ৫টি শহরে মেট্রো ছিল, আজ ২৩টি শহরে মেট্রো রয়েছে, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেট্রো নেটওয়ার্ক ভারতে। প্রত্যেক ভারতবাসী চায় যে ভারত তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠুক। দেশের একটা বড় অংশের আশা পূরণ হচ্ছে। বিপুলসংখ্যক মানুষের ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে বিশুদ্ধ খাবার পানি। তাদের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। এখন ভারতের মানুষ মানসম্পন্ন জীবন চায়।’