বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে 26 জন নিরপরাধের মৃত্যুর বদলা তুলেছে ভারতীয় বায়ু সেনা। একেবারে অতর্কিতে অপারেশন সিঁদুরের হাত ধরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে একের পর এক মিসাইল হামলা চালিয়েছে ভারত। গুঁড়িয়ে গিয়েছে পাক জঙ্গিদের আস্তানা। কার্যত ধুলোয় মিশে গিয়েছে পাক মদদপুষ্ট জঙ্গিদের লাশ! এমতাবস্থায়, ফের ভারতের সাফল্যে কাঠগড়ায় চিনা রাডার (Chinese Radar)।
হ্যাঁ, গতকাল পাকিস্তানের চিনা রাডারে ভারতীয় বায়ুসেনার কোনও গতিবিধি ধরা পড়েনি। এক কথায়, রাফালের শো শো আওয়াজ তো দূর, ভারতীয় যুদ্ধ বিমানগুলি যে পাকিস্তানের সীমারেখা পার করছে তা এক মুহূর্তের জন্যও টের পায়নি সেদেশের নিরাপত্তা কর্মীরা। আর এই ব্যর্থতার কারণে বারবার প্রশ্ন উঠছে চিনা রাডার নিয়ে। শেষবারের মতো পুলওয়ামা হামলার প্রত্যাঘাত হিসেবে বালাকোট সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সময়ও ভারতীয় বিমানগুলির গতিবিধি ধরতে ব্যর্থ হয়েছিল চিনা রাডার। কিন্তু কেন?
কাজে এল না বন্ধু চিনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা
বালাকোটে ভারতীয় বিমান বাহিনীর হামলার ভয়ে একেবারে গুটিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। কোনও মতে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সাজিয়ে ছিল পশ্চিম দিকের দেশ। ঠিক সেই সময়ে পাকিস্তানের পাশে এসে দাঁড়ায় বন্ধু চিন। দেশটিকে বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক অস্ত্র, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে সাহায্য করে জিনপিং সরকার। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভারতীয় যুদ্ধবিমানের গতিবিধি ধরতে পারেনি পাক নিরাপত্তা কর্মীরা। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, বন্ধু চিনের কাছ থেকে পাওয়া সুরক্ষা ব্যবস্থা, বিশেষত রাডারগুলি ভারতীয় বিমানের গতিবিধি ধরতে পারেনি। একই ঘটনা ঘটেছিল ভারতের শক্তিশালী ক্রুজ মিসাইল ব্রহ্মোসের ক্ষেত্রেও!
গতকাল নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সাজানো পরিকল্পনা অনুযায়ী পাকিস্তানের মাটিতে একের পর এক মিসাইল নিক্ষেপ করেছিল ভারত। তবে দেশের মাটিতে প্রতিবেশী তান্ডব চালিয়ে গেলেও শুরুর দিকে তার কোনও আঁচই পায়নি পাকিস্তান। আর এই ঘটনার পরই, বারংবার আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে চিনের উন্নত প্রযুক্তির রাডার থাকা সত্বেও কেন ভারতীয় ফাইটার জেট গুলির গতিবিধি ধরতে পারছে না পাকিস্তান?
কেন ভারতীয় যুদ্ধ বিমান গুলিকে রাডারে ধরতে পারে না পাকিস্তান?
পাকিস্তানের তরফে 2017 সালে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছিল, দেশে যে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে তা মূলত নির্দিষ্ট উচ্চতার যুদ্ধ বিমানগুলিকে ধরতে পারে। অর্থাৎ পাকিস্তানে মোতায়েন করা ডিফেন্স সিস্টেম খুব বেশি হলে 15 থেকে 18 মিটার উচ্চতার যেকোনও ক্ষেপণাস্ত্র বা যুদ্ধ বিমানকে সর্বোচ্চ 40 কিলোমিটার দূরত্বে টার্গেটে আনতে পারে। জানিয়ে রাখি, পাক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় যে চিনা রাডারগুলি ফিট করা রয়েছে, তা খুব বেশি হলে 150 কিলোমিটার দূরে থাকা ক্ষেপণাস্ত্র বা যুদ্ধ বিমানের আনাগোনা ধরতে সক্ষম।
আর মজার বিষয়টা এখানেই। ভারতের সব ধরনের সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের আধিক্য রয়েছে। ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও রাডারগুলির রেঞ্জের বাইরে দিয়ে যায়। অর্থাৎ রাফালের মতো যুদ্ধ বিমান গুলিকে রাডারে ধরা তো দূর, সেগুলির এক সেকেন্ডের গতিবিধি আটক করার ক্ষমতা নেই পাকিস্তানের। আর সেই কারণে নির্ধারিত রেঞ্জের বাইরে থাকা ভারতীয় যুদ্ধবিমান বা ক্ষেপণাস্ত্র গুলি পাকিস্তানের চোখ এড়িয়ে সহজে হামলা চালাতে পারে।
অবশ্যই পড়ুন: নারিশক্তি! কর্নেল সোফিয়া ও উইং কমান্ডার ব্যোমিকাকে চেনেন? রইল দুই সেনা নায়িকার গর্বের কাহিনী
উল্লেখ্য, 2019 সালে চুক্তি মতো পাকিস্তানকে 6টি উচ্চশক্তি সম্পন্ন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়েছিল চিন। বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, এই 6 ডিফেন্স সিস্টেমের মধ্যে 96টি লোম্যাড রেজিমেন্টের অন্তর্ভুক্ত 3 সিস্টেমে একাধিক ত্রুটি লক্ষ্য করা যায়। পরবর্তীতে অন্যান্য সময়ের মতো চিনের ত্রুটিপূর্ণ অস্ত্র ও ডিফেন্স সিস্টেমগুলিকে ড্রাগনের দেশে ফেরত পাঠিয়েছিল পাকিস্তান!
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |