একের পর এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেকার সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। যার মধ্যে সবথেকে বড় ইস্যু হল সন্ত্রাসবাদ। ভারতের বুকে বহু সন্ত্রাসবাদী হামলার নেপথ্যে যে পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠী রয়েছে তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিকে সম্প্রতি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অবধি হুঙ্কার দিয়ে বলেছিলেন যে ‘ঘরে ঢুকে মেরে আসব আমরা।’ তাঁর নিশানায় যে বিভিন্ন ঘটনার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সইদ ছিলেন তা আর বুঝতে কারোর বাকি ছিল না।
হাফিজ সইদকে বিষ দেওয়া হয়েছে?
এদিকে এই হাফিজ সইদকে নিয়েই প্রকাশ্যে এল বড় খবর, যা শুনে চমকে গিয়েছেন সকলে। মুম্বই হামলার মূলচক্রী তথা লস্কর-ই-তইবার জঙ্গি নেতা হাফিজ সইদকে নাকি বিষ দেওয়া হয়েছে। যারপরে তাঁকে নাকি পাকিস্তানের এক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বর্তমানে সে নাকি আইসিইউতে ভর্তি। অচেনা লোকজন তাকে বিষ খাইয়েছে বলে খবর। এদিকে খাওয়ার কিছুক্ষণ পরই তার রক্তবমি শুরু হয়। এরপর অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে তাকে আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ তুর্কিকে কড়া জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি, গ্রিসের সেনা প্রধান আসছেন ভারতে! চিন্তায় এরদোগান
সোশ্যাল মিডিয়া এক্স প্ল্যাটফর্মে এখন ট্রেন্ডিং হাফিজ সইদ। যদিও এই বিষয়ে সত্যতা যাচাই করা হয়নি কোনওভাবে। অনেকেই হয়তো জানেন না যে ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে টানা ৭৮ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছে বিভিন্ন জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড। এ পর্যন্ত পাকিস্তানের আদালতে সন্ত্রাসে অর্থায়নের সাতটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের ১২৬৭ আল-কায়েদা নিষেধাজ্ঞা কমিটি হাফিজ সইদকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করে।
BREAKING : Terrorist Hafiz Saeed, founder of the terrorist organization Lashkar-e-Taiba, has been admitted to Mayo Hospital Lahore after complaining of dangerous food poisoning. This afternoon he also vomited blood from his mouth. Currently he is in ICU. pic.twitter.com/HwxZA9gyDD
— Frontalforce ???????? (@FrontalForce) April 7, 2024
তাঁর বিরুদ্ধে ১৯৮০ ও ১৯৯০-এর দশকে কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। হাফিজ পাকিস্তানভিত্তিক কুখ্যাত জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার নেতৃত্ব দেয় বলে অভিযোগ। তাঁকে জাতিসংঘের সুরক্ষা কাউন্সিল, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া এবং রাশিয়ার তরফে জঙ্গির তকমা দেওয়া হয়েছে।