প্রীতম সাঁতরাঃ মৃত্যুমিছিল, মৃত্যুযজ্ঞ। কয়েক ঘন্টার মধ্যে ৬০০ জনকে হত্যা। ঘটনার খবর আগেই পাওয়া গিয়েছিল। মৃত্যু সংশোধিত সংখ্যা প্রকাশ পেল মাসের দেড়েক পর। জঙ্গি হামলায় ৬০০ জনের মৃত্যু।
আল কায়দা মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠী
অগস্ট মাসে ঘটনাটি ঘটেছে বুরকিনা ফাসোতে (Burkina Faso)। মূল শহরের বাইরের অবস্থিত একটি গ্রামে হানা দিয়েছিল জঙ্গি দল। আল কায়দার মদতপুষ্ট সেই জঙ্গি গোষ্ঠীর সংক্ষিপ্ত নাম জেএনআইএম। গ্রামের সীমানায় আসার পরেই গুলি ছুঁড়তে শুরু তারা।
বাইকে করে এসে গুলিবৃষ্টি
জঙ্গি হামলা হতে পারে এই আশঙ্কা গ্রামবাসীরা আগেই করেছিলেন। হামলা ঠেকানোর জন্য গ্রামের সীমানার বাইরে পরিখা খননের কাজ চলছিল। কাজ সম্পন্ন হওয়ার আগেই উপস্থিত হয় জঙ্গি গোষ্ঠী। বাইকে করে এসেছিল তারা। গ্রামের সীমান্তে এসেই গুলি বৃষ্টি। যুবকে, বৃদ্ধ, নারী, শিশু কাউকেই জঙ্গিরা বাদ দেয়নি। গণহত্যা।
কেন গুলি চালানো হল?
গ্রামের নিরীহ মানুষদের ওপর কেন গুলি চালানো হল? ঘটনা সম্পর্কে পরে একটি বিবৃতি দিয়েছিল জঙ্গি গোষ্ঠী জেএনআইএম। তাদের সাফাই অনুযায়ী, ওই গ্রামে লুকিয়ে ছিল সেনাবাহিনীর লোকজন। তাদের খতম করার জন্যই এই হামলার ছক। গুলির আঘাতে নিহত হয়েছেন শয়ে শয়ে মানুষ, আনুমানিক ৬০০ মানুষ। বুরকিনা ফাসোর বিগত কয়েক দশকের ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম।
শহীদ প্রায় ১৫০ সেনা জওয়ান
গণহত্যার দিন কয়েক পর ফের হামলা। ওই গ্রাম থেকে কিছুটা দূরে সেনা কনভয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা। শহীদ হয়েছেন প্রায় ১৫০ সেনা জওয়ান। জঙ্গিদের কার্যকলাপের ফলে এমনিতেই চাপে সেখানকার সরকার। তার ওপর সেনার ওপর নেমে আসছে সরাসরি আঘাত, ঘটেছে গণহত্যার মতো ঘটনা।