সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ফের বিতর্কে জড়ালেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তবে এবার শুধুমাত্র রাশিয়া নয়, বরং তার নিশানায় উঠে এসেছে ভারত ও ইরানও। হ্যাঁ, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিস্ফোরক পোস্টের মাধ্যমে রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভকে বিরাট হুঁশিয়ারি দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি ভারতের অর্থনীতি ও রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিয়েও তিনি কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না। আর এর প্রেক্ষিতে রাশিয়াও পাল্টা জবাব দিয়েছে এবং তার পাশে দাঁড়িয়েছে ইরান। তবে কী নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত? কেনই বা হঠাৎ চড়াও হলেন ট্রাম্প?
ট্রাম্পের বিস্ফোরক মন্তব্য
সম্প্রতি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রাম্প লিখেছেন, ভারত রাশিয়ার সঙ্গে কী করছে, তা নিয়ে আমার কোনো মাথা ব্যাথা নেই। ওরা নিজেদের মরচে ধরা অর্থনীতি নিয়ে যা খুশি করতে পারে। পাশাপাশি রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মেদভেদেভকে সরাসরি হুমকি দিয়ে তিনি লিখেছেন, ওই ব্যর্থ প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে বলো, যেন নিজের কথা সামলে বলে। খুবই বিপদজনক পথে হাঁটছে।
মেদভেদেভের পাল্টা বক্তব্য
তবে ট্রাম্পের হুমকির জবাব দিয়ে মেদভেদেভ ঠাট্টার সুরে বলেছেন, যদি আমার কথায় এতই ভয় লাগে, তাহলে বুঝতে হবে রাশিয়া সঠিক পথেই হাঁটছে। তবে এখানেই তিনি থেমে থাকেননি। মার্কিন দর্শকদের পরিচিত টিভি সিরিজ ওয়াকিং ডেডের প্রসঙ্গ টেনে তিনি আমেরিকাকে ডেড হ্যান্ডের মতো এক ভয়ঙ্কর সত্যি মনে করিয়ে দেন।
হ্যাঁ, এটাই ছিল ঠান্ডা যুদ্ধের সময় রাশিয়ার স্বয়ংক্রিয় পারমাণবিক ব্যবস্থা। অর্থাৎ, যদি রাশিয়া পারমাণবিক আক্রমণের শিকার হত, তাহলে ডেড হ্যান্ড নিজেই চালু হয়ে পারমাণবিক মিসাইল নিক্ষেপ করত।
Trump Threatens Russia With Submarine-Delivered Nuclear Attack After Moscow Pushes Plan To Arm Iran With Nukes pic.twitter.com/h5vu0fWEt7
— Alex Jones (@RealAlexJones) June 23, 2025
ভারতের ৬ সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা
তবে এই ঘটনার মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের ছয়টি কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, যারা ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে 2025 সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ইরানি পেট্রো কেমিক্যাল পণ্য আমদানি করেছে বলে অভিযোগ উঠছে। আর কোম্পানিগুলির মধ্যে মুম্বাই, সুরাট এবং গুজরাটের একাধিক নামিদামি সংস্থা রয়েছে।
News 18 Hindi এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই নিষেধাজ্ঞার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইরান জানিয়েছে, স্বাধীন দেশগুলোর উপর এই ধরণের নিষেধাজ্ঞা আসলে আমেরিকা জন্য তাঁদের চিরাচরিত চাপের কূটনীতি। আর এটা ট্রাম্পের দ্বারা এক ধরণের আধুনিক অর্থনৈতিক সাম্রাজ্যবাদ, তা বলা চলে।
আরও পড়ুনঃ মাসে ১২,৫০০! ইন্টার্নশিপের সেরা সুযোগ দিচ্ছে Bookmyshow
ওদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ভারত ও ইরানের মধ্যে উদীয়মান শক্তির অগ্রগতিকে আমেরিকা আটকানোর চেষ্টা করছে। এর বিরুদ্ধে গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোকে একজোট হয়ে লড়তে হবে। তাহলেই আমেরিকার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যাবে।
যদিও ভারতের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি মেলেনি। তবে আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের সঙ্গে রাশিয়া এবং ইরানের দৃঢ় সম্পর্কের বার্তা ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছে। হ্যাঁ, ট্রাম্পের বক্তব্যকে একপ্রকার অগ্রাহ্য করে হয়েছে বলেই মনে করছে বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |