সৌদি আরব মানেই হল তেলের ভাণ্ডার। এই দেশকে নিয়ে মানুষের আলোচনার শেষ নেই। মূলত এই দেশের কাছে যে পরিমাণ তেলের ভাণ্ডার রয়েছে তা নিয়ে মানুষের কৌতূহল ও আলোচনার যে শেষ নেই তা বলাই বাহুল্য। শুধুই কি মানুষ, বহু দেশ এই সৌদি আরবের দিকে তাকিয়ে থাকে। এহেন অবস্থায় ফের একবার শিরোনামে উঠে এল এই দেশ।
না, এবার তেল নিয়ে নয়। এবার এই দেশ এক নয়া রেকর্ড গড়েছে যা শুনে চমকে যেতে পারে বাঘা বাঘা দেশ। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নতুন করে ফুলেফেঁপে উঠেছে। সৌদি আরবের প্রিন্স মহম্মদ বিন আমলে দেশ যে এমন সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে যাবে সেটা হয়তো কেউ স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। পর্যটন ব্যবসায় এবার অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিল সৌদি। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন একদম।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী দেশের তালিকায় উত্থান ভারতের
এই বিষয়ে এক চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছে সৌদি আরবের সেন্ট্রাল ব্যাংক, যা শুনে হয়তো আপনার পিলে চমকে যাবে। সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের এক প্রাথমিক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে পর্যটক আগমন থেকে দেশটি ৩৬ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা নিজেই একটি নতুন রেকর্ড। এটি সৌদি আরবের ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি। ২০২২ সালের তুলনায় ৪২.৮ শতাংশ বেশি পর্যটন ব্যবসা বড় লাফ মেরেছে ২০২৩ সালে। আসলে সৌদি যুবরাজ ২০৩০ সালের মধ্যে তেল থেকে দেশের আয়ের নির্ভরতা কমিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। আর যে কারণে পর্যটন ব্যবসাকে এক নতুন মাত্রা দিতে পদক্ষেপ নিচ্ছেন সলমন বলে মনে হচ্ছে।
সৌদি আরব্যে হু হু করে বাড়ছে পর্যটকের সংখ্যা
২০২৩ সাল থেকে আচমকাই সৌদি আরবে পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে। পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে ৫৬ শতাংশ। সৌদি আরবের এই সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেছে জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থাসহ অনেক সংস্থা। ২০২৩ সালে সৌদি আরবে ১০০ মিলিয়ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটক এসেছে।
২০৩০ সালের মধ্যে দেশের পর্যটন ব্যবসাকে আলাদা উচ্চতাতেই নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে আরব। সৌদি আরব হজ ও উমরাহর দিকে নজর দিচ্ছে যার জন্য সারা বিশ্ব থেকে মুসলমানরা এখানে আসছেন। হজ করতে এসে যাতে কারোর অসুবিধা না হয় তার জন্য ২১ বিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় করেছে সৌদি আরব। প্রতি বছর হজ ও ওমরাহ পালনের জন্য ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লাখ লাখ মানুষ সৌদি আরব পৌঁছায়।