বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: আওয়ামী লিগ তথা শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের (Bangladesh) চিত্রটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। খুন, রাহাজানি, লুটপাট ও হিন্দু হত্যার মতো ঘটনা এখন ওপার বাংলায় নিয়মিত! অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তরফে যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আশ্বাস পাওয়া যায়নি তেমনটা নয়, তবে মহম্মদ ইউনূসের প্রতিবারের প্রতিশ্রুতির পরও এক ফোঁটাও বদলায়নি অচেনা বাংলাদেশের অপরিচিত রূপ। দেশজুড়ে একাধিক অপ্রীতিকর ঘটনার মাঝে এবার সামনে এলো বাংলাদেশের ব্যাংকগুলির বেহাল অবস্থার ছবি।
বন্ধ হতে চলেছে বাংলাদেশের একাধিক ব্যাঙ্ক
বাংলাদেশের বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শাসনকালে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশের ব্যাঙ্কগুলি। সূত্রের খবর, বাংলাদেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ার পরই দেশজুড়ে ব্যাঙ্কিং পরিষেবাও খেই হারিয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে এখন তালা ঝোলার অপেক্ষা। হ্যাঁ, দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এমন কথাই জানিয়েছেন।
সম্প্রতি দেশের ব্যাঙ্কিং পরিষেবা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় গভর্নর মনসুর বলেন, দীর্ঘ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও কিছু ব্যাঙ্ককে বাঁচানো যাবে না। দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্মম অত্যাচার ও নানান অপ্রীতিকর ঘটনার মাঝে শাসন ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখা একপ্রকার চ্যালেঞ্জের মতো হয়ে গিয়েছে ইউনূসের কাছে। এমতাবস্থায় দেশের ব্যাঙ্কগুলির বেহাল অবস্থা দেখেও যেন নীরবতা পালন করছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বাংলাদেশের ব্যাঙ্কিং পরিষেবা নিয়ে মুখ খুলেছেন মনসুর
গত মঙ্গলবার ঢাকার এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের ব্যাঙ্কিং পরিষেবার বেহাল অবস্থা নিয়ে কথা বলেন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, দেশের ব্যাঙ্কিং সেক্টর গুলির সমস্যা প্রায় সকলেরই জানা। আমাদের তরফে শেষ চেষ্টা চলছে তবে মনে হচ্ছে না ব্যাঙ্ক গুলিকে বাঁচানো যাবে।
মনসুর আরও বলেন, শেষ পর্যন্ত ব্যাঙ্কগুলিকে বাঁচানো না গেলে আর্থিক সংকটে থাকা ব্যাঙ্কগুলি বন্ধ করতে ব্রিজ ব্যাঙ্ক তৈরির পথে হাঁটবে বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক। জানা যাচ্ছে, ব্রিজ ব্যাঙ্ক তৈরি করে ব্যাঙ্কগুলিকে বন্ধ করতে ইতিমধ্যেই অর্ডিন্যান্স জারি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একই সাথে তার একটি খসড়া বানিয়ে তা আপলোড করা হয়েছে বাংলাদেশ অর্থ মন্ত্রকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে।
ঋণের দায়ে জর্জরিত ব্যাঙ্কগুলি
ওপার বাংলার বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমের পাতায় উল্লিখিত সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে বর্তমানে অপরিশোধিত ঋণ বা খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ কোটি টাকার কাছাকাছি। জানা যাচ্ছে, শুধুমাত্র গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে 6 মাসের সময়ে এই ঋণের পরিমাণ বেড়েছে 1 লক্ষ 34 হাজার 373 কোটি টাকা।
আর পড়ুনঃ ৮০% অবধি টোল ট্যাক্স কমানোর নির্দেশ NHAI-কে! নজিরবিহীন রায় হাইকোর্টের
যার কারণে বর্তমানে একপ্রকার বন্ধ হয়ে যাওয়ার মুখে বাংলাদেশি ব্যাঙ্কগুলি। আর এই খবর সামনে আসতেই চিন্তায় ভেঙে পড়েছেন গ্রাহকরা। তবে বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের গভর্নরের তরফে পাওয়া আশ্বাস অনুযায়ী, আমানতকারীরা তাদের নির্দিষ্ট অর্থ ফেরত পেয়ে যাবেন।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |