বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: সামুদ্রিক মহড়ার নামে তাইওয়ানকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করে চলেছে চিন। বিগত বছরগুলিতে বারংবার মহড়ার বাহানা দেখিয়ে ছোট্ট দ্বীপপুঞ্জটিকে নিজের পেশিশক্তি দেখিয়েছে ড্রাগন।
চলতি বছরেও সেই নিয়মের বাইরে যায়নি জিনিপিংয়ের দেশ। শোনা যাচ্ছে, তাইওয়ানকে ঘিরে ফেলার প্রস্তুতিতে কোনও কমতি রাখছে না চিন। গত বছরও একেবারে খোলাখুলি ভাবে মহড়ার মাধ্যমে তাইওয়ান সহ গোটা বিশ্বকে নিজের ক্ষমতা দেখিয়েছিল ড্রাগনের দেশ। তবে সূত্র বলছে, চিনের দাপাদাপিতে ভয় পাবেনা ক্ষুদ্র দ্বীপপুঞ্জটি।
বঙ্গোপসাগরে চিনের সন্দেহজনক কাজকর্ম অব্যাহত
সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, তাইওয়ানকে ঘিরে একাধিক কুপরিকল্পনার পাশাপাশি ভারত মহাসাগর এবং বঙ্গোপসাগরেও একাধিক সন্দেহজনক কার্যকলাপ চালিয়েছে ড্রাগন। জানা যায়, সম্প্রতি একটি চিনা গবেষণা জাহাজ 16 দিন ধরে বঙ্গোপসাগরে তাদের AIS সিস্টেম বন্ধ করে রেখেছিল। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চিনের ওই জাহাজটি সমুদ্রের অভ্যন্তরে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছিল।
শুধু তাই নয়, কীভাবে সাবমেরিন চলাচলের রাস্তা প্রশস্ত করা যায় তা নিয়েও চলছিল পরীক্ষা-নিরীক্ষা! এ প্রসঙ্গে আমেরিকার একটি প্রতিবেদন সতর্ক করে জানিয়েছে, চিন কিন্তু সমুদ্রের তলদেশে ক্ষমতা বৃদ্ধি করছে! শুধু তাই নয় ফরাসি সামুদ্রিক নজরদারি সংস্থা আনসিন ল্যবসও 2021 সালে স্পষ্ট করে জানিয়েছিল, AIS সিস্টেম বন্ধ করে সমুদ্রে জাহাজ পরিচালনা করার জন্য গোপনে বিভিন্ন অগ্রোহনযোগ্য কাজকর্ম চালাচ্ছিল চিন।
সতর্ক রয়েছে ভারত
বলে রাখি, সমুদ্রপথে চিনের গোপন কাজকর্ম এটাই প্রথম নয়। এর আগে বহুবার একাধিক কুকর্মের কারণে ধরা পড়েছে ড্রাগন। বলা বাহুল্য, এর আগে ভারতের আশেপাশে বেশ কিছু চিনা জাহাজ মোতায়ন করতে গিয়ে ধরা পড়েছিল শি-র দেশ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে চিন যেভাবে নিজের সর্বগ্রাসী মনোভাবকে বাস্তব রূপ দিতে উঠে পড়ে লেগেছে, তাতে ভারতের কপালে চিন্তার ভাজ বেড়েছে অনেকটাই।
অবশ্যই পড়ুন: শ্মশানে মহিলার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় BJP নেতা! ধরা পড়তেই পা ধরে ক্ষমা, ভাইরাল ভিডিও
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, বিগত কয়েক মাসে বাংলাদেশের সাথে সখ্যতা বাড়িয়ে ওপার বাংলার বন্দর এবং সামুদ্রিক অবকাঠামোতে বিরাট বিনিয়োগ করেছে চিন। মূলত চট্টগ্রাম এবং মংলা বন্দর সম্প্রসারণে বড় ভূমিকা নিয়েছে চিন। তবে এসবের মাঝেই বাংলাদেশের হাত ধরে লজিস্টিক ঘাঁটি তৈরি করে জ্বালানি ও মেরামতের অজুহাতে বঙ্গোপসাগরে নিজেদের জাহাজগুলিকে মোতায়েন করতে চাইছে চিন। যদিও সেই খবর ভাল মতোই জানে ভারত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনের এমন অনৈতিক চাল বানচাল করতেই বঙ্গোপসাগরে কড়া নজর রেখেছে দিল্লি। বিগত দিনগুলিতে, চিনা জাহাজের ওপর নজরদারি বাড়াতে ভারতীয় নৌসেনা ও উপকূল রক্ষী বাহিনীকে কড়া আদেশ দিয়েছে কেন্দ্র। এমতাবস্থায়, চিনের চাপ ঠেকাতে ভারতের পাশাপাশি তৈরি রয়েছে ড্রাগনের একাধিক প্রতিবেশী।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |