বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ‘আপনি একজন শান্তিপ্রিয় মানুষ।’ কথাটা বলা হয়েছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। বলেছেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। বৃহস্পতিবার, শরীফ, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির সহ অন্যান্য পাক প্রতিনিধিরা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে দেখা করতে হোয়াইট হাউসে যান। সেখানেই পাক প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধান মুনিরের সাথে রুদ্ধদ্বার কক্ষে বৈঠক হয় মার্কিন প্রেসিডেন্টের। সেখানেই নাকি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি নিয়ে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি তাঁকে শান্তিপ্রিয় মানুষ আখ্যা দিয়েছেন শেহবাজ (Shehbaz Sharif On Donald Trump)।
ট্রাম্পের প্রশংসায় পঞ্চমুখ পাক প্রধানমন্ত্রী
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল ট্রাম্পের সাথে বিরল বৈঠকের প্রথমেই চলতি বছরের শুরুতেই পাকিস্তান ও আমেরিকার মধ্যে সম্পাদিত শুল্ক ব্যবস্থা নিয়ে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান শেহবাজ। পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বের কথা স্মরণ করিয়ে শেজবাজ আত্মবিশ্বাসের সাথে বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে, উভয় দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য পাকিস্তান-আমেরিকার অংশীদারিত্ব আরও জোরদার হবে।
এছাড়াও একই দিনে, ট্রাম্পের ওভাল অফিসে বসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্টের নির্ভীক, সাহসী এবং সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপগুলি দক্ষিণ এশিয়াকে এক বিরাট ধ্বংসযজ্ঞ থেকে বাঁচিয়েছে। পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে যুদ্ধবিরতির কাজটা সহজ করেছেন তিনিই। এর জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। এদিন, গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার প্রয়াসে মুসলিম নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশংসা করেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
নিজেদের সর্বস্ব বিকিয়ে দিয়ে, কীভাবে ক্ষমতার কাছে আত্মসমর্পণ করতে হয় তা বোধ হয় পশ্চিমের দেশকে না দেখলে বোঝা যাবে না! এপির রিপোর্ট বলছে, ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাতে সন্ত্রাসবাদ দমনে সহযোগিতা সহ আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়েও কথা বলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। একই সাথে, সন্ত্রাসবাদ দমনে পাকিস্তানের ভূমিকার প্রতি জনসমক্ষে সমর্থন জানানোর জন্যও ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান শেহবাজ। তাঁর মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্প আদতেই একজন শান্তিপ্রিয় মানুষ।
অবশ্যই পড়ুন: শাহরুখদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় শুনানি এখনই না! হাইকোর্টে ঝটকা খেল ওয়াংখেড়ে
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে পাকিস্তান ও আমেরিকার পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে কথা বলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ও ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। এছাড়াও নানান প্রশংসার ফাঁকে সময় করে আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন শরীফ। যদিও এর পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প কী প্রতিক্রিয়া দিলেন, তা জানা যায়নি।