বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ভারতের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা? দক্ষিণ দিকের দেশ শ্রীলঙ্কার তরফে বিগত বছরগুলিতে আশানুরূপ আচরণ পায়নি দিল্লি। কঠিন সময়ে আর্থিক দিক থেকে সব রকম সাহায্য করা সত্ত্বেও, ভারতের সাথে খুব একটা বিশ্বাসযোগ্য আচরণ দেখায়নি তৎকালীন লঙ্কান(Sri Lanka) সরকার।
তবে সম্প্রতি সুদূর ব্যাঙ্ককে BIMSTEC সম্মেলন সেরে সরাসরি শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে দেশটির একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করতে সমঝোতা স্মারক (মউ)-স্বাক্ষর করেন প্রধানমন্ত্রী। আর ঠিক সেই সময়েই শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট অনুরা দিশানায়েকে আশ্বাস দিয়েছিলেন, ভারতের বিরুদ্ধে কোনও দ্বিতীয় শক্তিকে শ্রীলঙ্কার মাটি ও জলভাগ ব্যবহার করতে দেবেন না। এমন প্রতিশ্রুতির পর সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই বিশ্বাস ভাঙল শ্রীলঙ্কা!
ভারতকে এড়িয়ে তৃতীয় দেশের সাথে বড় চুক্তি শ্রীলঙ্কার
বেশ কয়েকটি সূত্র অনুযায়ী, ভারতকে সবদিক থেকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও সম্প্রতি তৃতীয় দেশের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি সেরেছেন অনুরা। জানা যাচ্ছে, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় নতুন পালক জুড়তে ভারতের কাছ থেকে তেজস এমকে 1 কেনার কথা ছিল শ্রীলঙ্কার! জানা যায়, ভারতের পাশাপাশি চিনের অন্যতম শক্তিশালী যুদ্ধবিমান JF-17-কেও নাকি বিকল্প হিসেবে রেখেছিল শ্রীলঙ্কার সরকার। তবে সদ্য প্রকাশ্যে আসা একটি সূত্র অনুযায়ী, ভারত ও চিন দুই দেশকে এড়িয়ে এবার ইজরায়েলের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি সেরেছে শ্রীলঙ্কা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ভারতীয় যুদ্ধবিমান কেনার পরিবর্তে নিজদের অস্ত্রাগারে থাকা পুরনো যুদ্ধবিমান গুলিকে নতুন ভাবে সাজিয়ে তুলতে চাইছেন লঙ্কান প্রেসিডেন্ট। বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, নতুন যুদ্ধবিমান কেনার বদলে সেগুলির আপগ্রেডেশনে জোর দিয়েছে লঙ্কান সরকার। আর সেজন্যই ইজরায়েলের বৃহত্তর সংস্থা অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজের সাথে 49 মিলিয়ন ডলারের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে দক্ষিণ দিকের দেশ। বলা বাহুল্য, বর্তমানে 5টি শক্তিশালী ফাইটার জেট রয়েছে লঙ্কান বায়ু সেনার।
অবশ্যই পড়ুন: T20 অতীত, এবার হবে ICC T10 বিশ্বকাপ? প্রস্তুতি নিচ্ছেন জয় শাহরা
হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত?
বেশ কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধ চলাকালীন ব্যবহৃত যুদ্ধবিমান গুলিকেই নতুন করে সাজাচ্ছে সে দেশের সরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, চিন বা ভারতের কাছ থেকে শক্তিশালী যুদ্ধবিমান কিনতে যে অর্থ খরচ হবে তার অর্ধেকেরও কম খরচে পুরনো যুদ্ধবিমান গুলিকে আপগ্রেড করবে শ্রীলঙ্কা। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, দীর্ঘ চিন্তা ভাবনার পরই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলঙ্কার সরকার।
সম্প্রতি দেশটির বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল সুরদর্শন পাথিরানা একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, নতুন যুদ্ধ বিমান কিনতে প্রচুর অর্থ খরচ হবে। এক একটি নতুন যুদ্ধ বিমানের দাম কমপক্ষে 40 মিলিয়ন ডলার। তাই সেই পথে না হেঁটে গৃহযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত Kfir বিমান গুলিকে নতুন করে সাজিয়ে তুলতে চায় শ্রীলঙ্কা।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |