সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ ফিলিপিন্সের ওপর থেকে দুর্যোগের কালো মেঘ যেন সরতেই চাইছে না। আবারও নতুন করে এই দেশে শুরু হল প্রকৃতির তাণ্ডব নৃত্য। সুপার টাইফুন ফাং-ওয়ং স্থানীয় নাম টাইফুন উয়ান (Typhoon Uwan) এর জেরে ঘরছাড়া ও আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। যদিও এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে বৈ কমবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আরও বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।
সুপার টাইফুনের কবলে ফিলিপিন্স
জানা গিয়েছে, দেশে সুপার টাইফুন ফাং-ওয়ং এর দাপট শুরু হয়েছে। আর এর দাপটের জেরে সেখানকার সাধারণ মানুষের হাল বেহাল হয়ে গিয়েছে। সেখানকার করুণ পরিস্থিতি চোখে দেখা যায় না। সাম্প্রতিক টাইফুন কালমায়েগি আছড়ে পড়ে সেখানে। সেখানেও বহু মানুষের প্রাণহানি হয়। তবে দেশটি এখন সুপার টাইফুন ফাং-ওং-এর মুখে পড়েছে। এটিকে এই বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় বলা হচ্ছে। আজ রবিবার থেকে দেশের উত্তর-পূর্ব উপকূলে আঘাত হানা শুরু করেছে এটি।
আবহাওয়া বিভাগের মতে, ফাং-ওং-এর গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত, অন্যদিকে ঝোড়ো হাওয়া ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটারে পৌঁছেছে। এর প্রভাব ১,৬০০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধে ছড়িয়ে পড়তে পারে, যার অর্থ এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই-তৃতীয়াংশকে প্রভাবিত করতে পারে। দেশের রাষ্ট্রপতি ফার্ডিনান্ড মার্কোস জুনিয়র জনগণকে অবিলম্বে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রতিরক্ষা সচিব গিলবার্তো তেওডোরো জুনিয়র সতর্ক করে বলেছেন যে টাইফুনটি দেশের বেশ কয়েকটি অংশে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে, যার মধ্যে সেবু, অরোরা, ইসাবেলা এমনকি রাজধানী ম্যানিলাও রয়েছে।
১ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হল
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও অবধি সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, ১ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে দেশে ইতিমধ্যে, বিদ্যুৎ বিভ্রাট, স্কুল ও সরকারি অফিস বন্ধ এবং ফ্লাইট বাতিল সহ অনেক এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। কোস্টগার্ড যেকোনো জাহাজকে সমুদ্রে যেতে নিষেধ করায় প্রায় ৬,৬০০ যাত্রী ও শ্রমিক বন্দরে আটকে পড়েছেন। এমনিতে ফিলিপিন্সে প্রতি বছর প্রায় ২০টি টাইফুন আঘাত হানে এবং ঘন ঘন ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতও ঘটে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে দুর্যোগপ্রবণ দেশগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয়।
Current situation in Polangui, Albay, Philippines followingTyphoon Fung-wong (UwanPH) pic.twitter.com/NgyujFEe5t
— Weather Monitor (@WeatherMonitors) November 9, 2025












