সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ফের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে খতম 12 পাকিস্তানি সেনা। জানা যাচ্ছে, সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেই শনিবার গভীর রাতে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে গোলাগুলি শুরু হয়েছিল। সূত্রের খবর, তালিবান নেতৃত্বাধীন আফগান বাহিনী ডুরান্ড লাইন বরাবর পাকিস্তানি সেনাদের উপর হামলা (Taliban Attack on Pakistan) চালায়। আর এর জেরেই নিহত হয়েছে 12 জন পাকিস্তানি সেনা এবং বেশ কয়েকজন আহত।
সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ
রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, গতকাল রাতে তালিবানরা ডুরান্ড লাইন বরাবর একাধিক পাকিস্তানি সেনাদের চৌকি দখল করে নিয়েছিল। এমনকি তার মধ্যে অস্থির কুনার ও হেলমান প্রদেশও ছিল। আফগান প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তালিবান বাহিনী কুনার এবং হেলমান প্রদেশে ডুরান্ড লাইনের উপরেই পাকিস্তানে সেনাদের বেশ কয়েকটি চৌকি দখল করেছে। এমনকি বাহারাম চাচা জেলায় শাকিজ, বিবি জানি এবং সালেহান এলাকাতেও তীব্র গুলির লড়াইয়ের খবর পাওয়া গিয়েছে।
Breaking News 🗞️
After the “Afghan Taliban” attack on Pakistan, Pakistani army soldiers Run from the border out of fear of Afghanistan 😭 pic.twitter.com/naZIa2ineM
— Honest Cricket Lover (@Honest_Cric_fan) October 11, 2025
পাক নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, তাদের বাহিনী পূর্ণ শক্তিতে আফগানিস্তান থেকে বিনা উস্কানিতে গুলি চালানোর জবাব দিচ্ছে। এমনকি আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, মাঝ রাতের মধ্যেই সংঘর্ষ শেষ হয়েছে। তবে যদি প্রতিপক্ষ আবারও আফগানিস্তানের আকাশ সীমা লঙ্ঘন করে, তাহলে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যোগ্য জবাব দিতে প্রস্তুত।
সীমান্তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা
তবে কাতার, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সীমান্তের উত্তেজনা নিয়ে উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে। উভয় পক্ষকেই আলোচনার মাধ্যমে এই সংঘর্ষের সমাধানের আহ্বান জানানো হয়েছে। আর কাবুলের কাছে পাকিস্তান বিমান হামলা চালানোর খবর প্রকাশ্যে আসার কয়েক দিন পরেই এই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হয়। এমনকি আফগানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নাঙ্গারহার এবং কুনারে পাকিস্তানের সামরিক অবস্থানকে লক্ষ্য করেই প্রতিশোধমূলক অভিযান চালানো হয়েছে।
এদিকে সেনাদের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আজ রাতের হামলায় পাকিস্তান পক্ষের সরঞ্জাম ও অস্ত্রশস্ত্রকে কার্যত গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি বলা হচ্ছে যে, কুনার এবং হেলমান্দ জুড়ে একটি করে ফাঁড়িও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পাকিস্তানি বাহিনী তালিবান যোদ্ধাদের কাছে বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র ও যানবাহন হারিয়েছে বলেও খবর।
আরও পড়ুনঃ মধ্যবিত্তদের চাপ দিয়ে আজও চড়ল সোনা, রুপোর দাম! দেখুন নয়া রেট
এমনকি বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ বলছে, 2021 সালে তালিবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে এটিই সবথেকে তীব্র সীমান্ত সংঘর্ষের মধ্যে একটি, যা পাকিস্তান আর আফগানিস্তানের সম্পর্ককে আরও অস্থিরতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। মূলত আঞ্চলিক বিরোধ আর জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার পারস্পরিক অভিযোগের কারণেই এই দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক টানাপোড়েন।